সুরজিৎ দাশ, নদীয়া: নদীয়ায় কল্যাণীতে চলছিল বাৎসরিক মেলা আর সেই মেলার মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে তৃনমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। দ্বন্দ্বের জেরে শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমার লড়াই। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেলা বন্ধের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। রোজগার বন্ধ মেলার দোকানদারদের।
কল্যাণী পৌর নির্বাচনের 10 নম্বর ওয়ার্ডের প্রচারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কল্যাণী ব্লকের সগুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘোড়াগাছা গ্রামের জুনিয়র বেসিক স্কুলের মাঠে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূলের 50 জনেরও অধিক কর্মী সদস্যরা। সেখানেই অপর একটি তৃণমূলের গোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন সশস্ত্র যুবক হামলা করে বলে জানান এলাকার প্রাক্তন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মোহাম্মদ কুতুবুউদ্দিন মন্ডল। তিনি বলেন, “কল্যাণী টাউনের সভাপতির ডাকে তারা মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন এমন সময়, ওই এলাকারই তৃণমূলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে থাকা মিলন রায় ওরফে বুকু তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন অতর্কিত হামলা করে এবং ব্যাপক বোমাবাজি করে”।
স্থানীয় জুনিয়র বেসিক স্কুলের ওই মাঠে একটি মেলা চলছিলো। স্বভাবতই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় মেলার দোকানীদের। মেলা দোকানির পক্ষ থেকে লক্ষ্মী রানী দেবনাথ জানান, “ভয়ংকর মারামারি এবং এবং তিন-চারটে বোমাবাজি হয় দু’পক্ষের মধ্যে”। বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি হয় কল্যাণী জে এন এম হাসপাতালে।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কল্যাণী এবং হরিণঘাটা থানার পুলিশ।মেলা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। একদিকে দূর-দূরান্ত থেকে আগত ছোটখাটো দোকানিদের রোজগার বন্ধ হয়ে যায়।অন্যদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত রাজনীতির আঙিনা। এলাকার মানুষ রয়েছে আতঙ্কের মধ্যে।