মুকুল, শুভ্রাংশু রাজিবদের তৃণমূলে যোগ দান শুধু সময়ের ব্যাপার, বেসুরো নেতারা ফের অনুপস্থিত দিলীপের ডাকা বৈঠকে

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210608_152200

নিউজ ডেস্ক : বিজেপিতে থাকা যে সব নেতারা তৃণমূলে ফিরতে চান তাদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের দূরত্ব প্রায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিধানসভা ভোটে হারের পরে যে ছিঁড় ধরেছিল সম্পর্কে এখন তা যে ফাটলে পরিণত হয়েছে তা ধরা পড়ছে সবার চোখে। এবার আরো একবার বোঝা গেল বহু বিজেপি নেতা এখন শুধু অপেক্ষা করছেন ঘাসফুল শিবিরের সবুজ সংকেতের। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য স্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অথচ সেই বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি-র প্রথমসারির নেতা মুকুল রায়। নেই বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মুকুলের পুত্র শুভ্রাংশুও নেই ওই বৈঠকে। যদিও গেরুয়াশিবিরের দাবি, দিলীপের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথাই নয়। কারণ, তিনি রাজ্য কমিটির সদস্য নন। অনুপস্থিত রাজীবও রাজ্য কমিটির পদাধিকারী নন। কিন্তু তাঁকে দলের বিভিন্ন বৈঠকে ‘বিশেষ আমন্ত্রিত’ হিসেবে ডাকা হত। সব্যসাচী রাজ্য কমিটির সদস্য। কিন্তু তিনিও মঙ্গলবারের বৈঠকে আসেননি।

 

 

মুকুল পত্নীকে দেখতে প্রথম সারির তৃণমূল নেতা অভিষেকের হাসপাতালে হওয়ার পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে তাকে নিয়ে জল্পনা প্রবল হয়েছে। এমনকি বিজেপি শিবিরের সঙ্গে তার খুব বেশি যোগাযোগ নেই বলেও অভিযোগ ঘনিষ্ট মহলের। পরিস্থিতি বুঝে অভিষেকের হাসপাতালে যাওয়ার পর দিন মোদি নিজেই ফোন করেন মুকুলকে। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে তার দূরত্ব আগে থেকেই বাড়ছিল। প্রথমত, বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে তিনি রাজি ছিলেন না। সেই জন্যই জয়ের পরেও তিনি বিধানসভায় নিরব ছিলেন, সাক্ষাৎ করেন সুব্রত মুখার্জীর সঙ্গে। বলেছিলেন, এখন চুপ আছি। যা বলার সময় হলে বলব। তারপর তাকে বাদ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির পক্ষে বিরোধী দলনেতা করা মানা কঠিন তার পক্ষে বলে কোন করেন অনেকে। এখানেই শেষ না। মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু ও বিজেপির নেতাদেরকে তৃণমূলের অন্ধ সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। পরে তৃণমূল নেতাদের প্রশংসা ও শোনা যায় তার গলায়। অন্যদিকে রাজীবের সমীকরণ অনেক পরিষ্কার। তিনি সরাসরি জানিয়েছেন, দলের কেউ তার খোঁজ নেন না। তিনিও দলের কর্মীদের খোঁজ নেন না বলে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ। মমতা স্তুতি বার বার শোনা গিয়েছে তার গলায়। তবে এই বিদ্রোহী বিজেপি নেতাদের ঠিক কবে আবার দলে নেবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব সেটাই এখন দেখার।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর