শনিবারের ভোররাতে ইসরায়েলের আকাশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এক ভয়াবহ আতঙ্কের দৃশ্য। ইরান ‘ট্রু প্রমিস অপারেশন থ্রি’-এর দ্বিতীয় ধাপ চালু করে ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার উপর একযোগে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, এই হামলার সময় দেশের কোটি কোটি মানুষ আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটে।

হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল মূলত যোদ্ধা বিমানগুলোর জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্র এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত অবকাঠামো। ইরানের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়, এই ধরণের কৌশলগত আক্রমণ তারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবে।

হারেৎজ পত্রিকার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সময়কালে ইরান মোট পাঁচ দফায় ১৫০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চল লক্ষ্য করে। এর মধ্যে অন্তত দশটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা বাধা দেওয়া সম্ভব হয়নি এবং তা মধ্য ও উত্তর ইসরায়েলের জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরিত হয়।
এই হামলার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে হাইফা ও তেলআবিব শহরে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে রাতের অন্ধকার আকাশে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আক্রমণ শুধু সামরিক নয়, বরং কৌশলগত বার্তা বহন করছে। ইরান স্পষ্টভাবে ইসরায়েলকে জানিয়ে দিয়েছে, তারা দেশের সামরিক এবং জ্বালানিভিত্তিক স্থাপনাগুলিকে তাদের আঘাতের মূল টার্গেট হিসেবে দেখছে।
বর্তমানে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে বাঙ্কার কিংবা নিরাপদ আশ্রয়স্থলে থাকতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সংঘাত আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।