লালপুরে প্রবাসী মেম্বারের সম্মানীসহ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের স্থায়ী বহিষ্কার ও আর্থিক ক্ষতি পূরণের দাবী পরিবারের

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

received_1409495919260893

লালপুরে প্রবাসী মেম্বারের সম্মানীসহ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের স্থায়ী বহিষ্কার ও আর্থিক ক্ষতি পূরণের দাবী পরিবারের

নাটোর প্রতিনিধি
বিভিন্ন ঋণ ও দাদন ব্যবসায় ফাঁসিয়ে দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রবাসে পাড়ি দিতে বাধ্য করে ইউপি সদস্যের সম্মানীসহ নানা সুবিধা আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বহিঃস্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মাস্টারের স্থায়ী বহিষ্কার ও আর্থিক ক্ষতি পূরণের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ওই ইউপি সদস্যের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসী। এ সময় প্রবাসে থাকা ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ স্কাইপিতে যোগ দিয়ে তার ক্ষতিপূরণ ও চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির বিচার দাবী করে দেশে ফেরার আকুতি জানান।
সকালে লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের গোধরা এলাকায় প্রবাসে থাকা ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে তার স্ত্রী মাসুদা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৬ সালে মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের অর্থ যোগান দিতে চেয়ারম্যান সেলিম রেজা তার স্বামীকে দিয়ে অপর মেম্বার শফিকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাদন হিসাবে নিয়ে তা প্রকল্পের খরচ বাবদ আত্মসাত করেন। পরে সেই দাদন নেয়া টাকার সুদ সহ সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা গ্রাম্য শালিশে স্টাম্পের মাধ্যমে চুক্তি করে চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করিয়ে নেন ওই চেয়ারম্যানই। এতে নিঃস্ব আবুল কালাম সংসারের খরচ মেটাতে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর প্রবাসে পাড়ি দিতে বাধ্য হন। প্রবাসে থাকার বিষয়টি চেয়ারম্যান গোপন রেখে মেম্বারের সম্মানীসহ বিভিন্ন প্রকল্পে তাকে সভাপতি দেখিয়ে দূর্ণীতি করে সকল টাকা আত্মসাত করে আসছেন। গত মাসেও স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মানে প্রকল্প সভাপতি হিসাবে সে টাকা উত্তোলন করেছেন। এমন নানা অভিযোগে সে সেলিম রেজা সাময়িক বহিঃস্কার হয়েছেন। তবে আবুল কালামের পরিবারের দাবী সেলিম রেজাকে স্থায়ী বহিঃস্কার সকল দূর্ণীতির তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার। এছাড়া তাদের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তারও ক্ষতি পূরণ দাবী করেন তারা।
এদিকে এ সময় স্কাইপিতে যোগ দিয়ে প্রবাসে থাকা আবুল কালাম আজাদ জানান, চেয়ারম্যানের কারণে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছে এছাড়া তার নামে কৃষি ব্যাংকের একাউন্টের চেক চেয়ারম্যানের কাছে থাকায় তা দিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা তুলে আত্মসাত করেছেন । তাই তিনি দেশে আসার নিরাপত্তা ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবী করেন।
এ সময় সাংবাদিক সম্মেলনে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইসকান্দর মির্জা , সহ প্রচার সম্পাদক মীর আব্দুল মান্নান, আব্দুল কুদ্দুসসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয়রা সাইনবোর্ড দেখিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুটপাট , বয়স্ক, মাতৃকালীন ভাতা ও বিধবা ভাতায় আর্থিক লেনদেন ও নানা অনিয়ম এবং দূর্ণীতির অভিযোগ এনে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

শিমুল আলী
নাটোর
১৩-০৮-২০

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর