মঙ্গলগ্রহে ব্যাপক ধস! ইউরোপিয়ান অরবিটারের চাঞ্চল্যকর ছবি

 

 

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এক্সো-মার্স অরবিটার পরিচালনা করে। তারা বলছে যে ভূমিধস হচ্ছে নির্দিষ্ট পরিবেশগত অবস্থার অধীনে ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া। “পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহে, এগুলি বিভিন্ন আকারে আসে এবং লাল গ্রহের দেহে দেখা অনুরূপ প্রক্রিয়াগুলি বোঝার জন্য পৃথিবীর অ্যানালগগুলি ব্যবহার করা হয়।”

মঙ্গল গ্রহ ভালভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে অরবিটার পাঠিয়েছিল ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। তাদের ক্যামেরায় তোলা ছবি বিশ্লেষণ করেই ভূমিধসের চিহ্ন নজরে আসে বিজ্ঞানীদের। দেখা যায়, লালগ্রহের যে অংশে তরলের আধিক্য, সেখানেই এই ভূমিধসের প্রবণতা বেশি। আবার মঙ্গলে একটি আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি অংশেও অধিক লাভা জমে সেখানকার জমিতে ফাটল দেখা গিয়েছে।তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটা একদিনের ব্যাপার নয়। বেশ খানিকটা সময় ধরেই মঙ্গলের ভূমিরূপে এই পরিবর্তন ঘটেছে। তবে তা কতটা সময়, কতটা আগে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় বিজ্ঞানীরা। এ ধরনের ভূমিধসকে ভূতাত্বিক প্রক্রিয়া বলেই মনে করছেন তাঁরা। মঙ্গলের ভূমি ধসে যেসব অঞ্চলে জমেছে, সেখানকার ছবি অনেকটা পৃথিবীর কোনও একটা ধসপ্রবণ এলাকার মতো বলেই গবেষণা সূত্রে খবর। ২০১৬ সালে মঙ্গলে পরিদর্শন শুরু করা ‘ট্রেস গ্যাস অরবিটার’ ২০১৮ সালে অভিযান শেষ করেছিল। তবে এই অরবিটারের রোভার রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন এবং কাজাচকের মাধ্যমে তথ্য ও ছবি সরবরাহ করছে। সেসব ছবি নিয়েই চলছে বিশ্লেষণ।

Latest articles

Related articles