বিজেপি ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝেই লকেটকে আটকাতে বৈঠকে নাড্ডা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

ei-samay

 

 

নিউজ ডেস্ক : বাবুল দল ছেড়েছেন। পিছু পিছু ঠিক আরও কতজন বিজেপি ছাড়বেন সেই তালিকা এখনও গেরুয়া শিবিরের নেতাদের কাছে পরিষ্কার নয়। তবে লাইনে যে অনেকেই আছেন সেটা তাঁরা বিলক্ষণ জানেন। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে সেই জল্পনা আরও জোরদার করে তুললে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিজেপির অন্তত ৭জন সাংসদ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। যে কোনও দিন যেকোনও মুহুর্তে তাঁরা বিজেপি ছেড়ে চলে আসবেন তৃণমূলে। সেই নামের তালিকায় নাকি রয়েছে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জীর নামও। যদিও লকেট নিজে তা মানতে নারাজ। কিন্তু এবার তাঁকে ঘিরেই জোরদার জল্পনা ছড়ালো বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পরে।

নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে তাঁর দল ছাড়ার প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি বলেও দাবি করেছেন লকেট। উলটে এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “নাড্ডাজি তো জানতেনই না যে এই ধরনের কোনও খবর রটেছে। আমিই বললাম। শুনে তো উনি অবাকই হয়েছেন। বুধবার যোশীজির সঙ্গে আবার আমাদের উত্তরাখণ্ড নিয়ে বৈঠক রয়েছে। সেই সব বিষয়েই কথা হয়েছে।”

লকেট স্বীকার না করলেও নাড্ডা যে শুধু উত্তরাখণ্ড নিয়ে আলোচনার জন্য লকেটকে ডেকেছিলেন, সে কথা মানতে নারাজ ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, বিজেপির তরফে উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে। পর্যবেক্ষককে ছাড়াই সর্বভারতীয় সভাপতি সে রাজ্য নিয়ে শুধুমাত্র সহ-পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, এমনটা বিজেপিতে সচরাচর দেখা যায় না। লকেটের সঙ্গে এদিন নাড্ডা যে বাংলার বিষয়েই আলোচনা করেছেন তার ইঙ্গিত লকেটের কথাতেই মিলেছে।

তিনি বলেছেন, “নতুন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে বলেই নাড্ডাজিকে জানিয়েছি।” তাঁর সমস্ত কথা নাড্ডাজি মন দিয়ে শুনেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন হুগলির সাংসদ। লকেটকে যে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব গুরুত্ব দিচ্ছে এদিনের বৈঠক থেকে তার প্রমাণ মিলেছে। রাজ্যে দলের ভাঙন যাতে আর বিস্তৃত না হয় সেদিকে তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের।

 

বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে পরেই লকেটের বিজেপি ছাড়ার জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি একটি সংবাদ সংস্থার তরফে এটাও দাবি করা হয় যে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লকেট বৈঠক করেছেন। যদিও লকেট তা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু এখন রাজ্য বিজেপির নেতাদের একাংশের দাবি, যা রটে তার কিছু তো ঘটে। সেই কারনেই নাড্ডাজি দ্রুত বৈঠকে বসেছেন লকেটের সঙ্গে, তাঁর দলত্যাগ ঠেকাতে। তবে লকেট নিজে জানিয়েছেন, ‘বিজেপি ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা নেই আমার। আমি কেন বিজেপি ছাড়তে যাব? আগামী বছর উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে। বাংলা থেকে প্রথমবার কোনও মহিলাকে এই ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমার সামনে এখন জাতীয় রাজনীতিতে কাজ করার সুযোগ। তা ছেড়ে আমি রাজ্য রাজনীতিতে নিজেকে কেন সীমাবদ্ধ করব। তার কোনও কারণ তো দেখতে পাচ্ছি না।’ তবে ঘটনা এটাই এদেশের রাজনীতিতে বহু নেতানেত্রীকে দলবদলের এক ঘন্টা আগেও বলতে শোনা গিয়েছে তাঁরা দলবদল করছেন না। একঘন্টা বাদে সেই ছবি আমূল বদলে যেতেও দেখা গিয়েছে। লকেট এখন কোন পথে হাঁটেন সেটাই দেখার।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর