নিউজ ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের বিজ্ঞাপনে কলকাতার ‘মা’ উড়ালপুলের ছবি! কেলেঙ্কারি কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। দোষারোপ, পালটা দোষারোপ, কটাক্ষের স্রোতে গা ভাসালেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও। নাম না করেই বিজ্ঞাপন বিতর্কে তিনি বিঁধেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে।আগামী বিধানসভা নির্বাচনে হাওয়া ঘোরাতে এখন থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে কেন্দ্র বিরোধী দলগুলি। হাত গুটিয়ে বসে থাকার পাত্র নন যোগীও। তবে এ বছরে কিনা একটু চাপে রয়েছেন তিনি। করোনাকালে আক্রান্ত দের দেহ দাহ না করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা, একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা উত্তরপ্রদেশের শাসনব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
বাইশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সরগরম গো-বলয়ের রাজনীতি। বিজেপির পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টিও শুরু করে দিয়েছে ভোট প্রচার। গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশে ভোটের ময়দানে নেমে পড়েন এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। এমন পরিস্থিতিতে গদি সামলাতে তৎপর যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু প্রচারের মাঝেই ঘটে বিপত্তি। রবিবার ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত এক সংবাদপত্রে ‘ট্রান্সফরমিং উত্তরপ্রদেশ’ শীর্ষক একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। যাতে যোগীরাজ্যের উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে বাংলার মা উড়ালপুলের ছবি দেওয়া হয়। এতেই শোরগোল পড়ে যায়। এই ‘ভুলের’ দায় সংবাদপত্রের উপর চাপায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। সংবাদপত্রের পক্ষ থেকেও ক্ষমা চাওয়া হয়। টুইটারে শাটারস্টকের তোলা মা উড়ালপুরের একটি ছবি পোস্ট করেছেন পরমব্রত। শোনা যায়, এই ছবি নাকি ফটোশপ করে যোগীরাজ্যের উন্নয়নের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয়।
এখানেই শেষ নয়, যোগীর ‘আব্বাজান’ মন্তব্য নিয়েও তীব্র ব্যঙ্গ করেছেন পরমব্রত। কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ২০১৭ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে দরিদ্ররা রেশন পেতেন না। কারণ সেই সময় নাকি ‘আব্বাজান’ বলা লোকজনরাই সব রেশন হজম করে ফেলতেন। যোগীর এই মন্তব্যের জেরেই রঞ্জিত মল্লিক, চুমকি চৌধুরী, পল্লবী চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘আব্বাজান’ সিনেমার পোস্টার শেয়ার করেন।