দ্রুত দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবের জন্য টাকা দিতে চায় সরকার, ব্যাঙ্কের নথি পাঠাতে স্কুলগুলোকে তাড়া দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210706_141419

নিউজ ডেস্ক : রাজ্যের শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে যাতে অনলাইন ক্লাস করতে পারে এবং আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে সুপরিচিত হয়ে উঠতে পারে সেই উদ্দেশ্যে ট্যাব দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর এই ট্যাব দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষা বর্ষে ও ট্যাব দ্রুত শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। এই কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে শিক্ষাদপ্তর। তবে এখনও পর্যন্ত যা তথ্য উঠে আসছে তাতে দেখা গিয়েছে, প্রায় তিন লক্ষের মত ছাত্র-ছাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য জমা পড়েনি। সেগুলি চলতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে স্কুলগুলির কাছে।

 

 

 

প্রতিটি জেলার স্কুলগুলোর কাছে শিক্ষা দপ্তরের তরফে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। শিক্ষাদপ্তর সূত্রে পাওয়া একটি হিসাব অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, মাদ্রাসা ছাড়া রাজ্যের ৬৪০৭টি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ট্যাব কেনার অনুদান পাবেন। ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা সর্বমোট ৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৬৮৭। এরমধ্যে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি স্কুলগুলি ইতিমধ্যেই জমা দিয়ে দিয়েছে। সেই সংখ্যাটা ৫ লক্ষ ২০ হাজার ৩৮৯। আর নথি জমা পড়েনি ২ লক্ষ ৯৪ হাজার ২৯৮ জন ছাত্র-ছাত্রীর। এরমধ্যে সবথেকে পিছিয়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা এখানকার প্রায় ৩৩ হাজার পড়ুয়ার নথি এখনও জমা পড়েনি। তারপর পশ্চিম মেদিনীপুর। এই জেলার প্রায় সাড়ে আট হাজার নথি জমা পড়েনি। মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, হুগলি, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অধিকাংশ স্কুল নথি জমা না পড়ার তালিকায় অনেকটাই পিছনের স্থানে অবস্থান করছে বলে শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। বুধবারের মধ্যে ব্যাংক সংক্রান্ত সমস্ত নথি জমা দেওয়ার জন্য ‘অতীব জরুরী’ মর্মে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে স্কুলগুলির কাছে।

 

 

শিক্ষা দপ্তর ১৯ জুন নোটিশ জারি করে ব্যাঙ্কের নথি জমা দিতে নির্দেশ দেয়। তবে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় সমস্যার কথা জানিয়েছেন বিদ্যালয় শিক্ষকরা। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ব্যাংকের নথি জমা দিতে বলা হয়েছে ফাজিল ছাত্রছাত্রীদের ও। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের বাংলার পোর্টালে এই সব তথ্য জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর