সাফাই কর্মী দিচ্ছেন ইনজেকশন, নাইট গার্ড ঔষধ, অদ্ভুতভাবে চলছে সরকারি পশু হাসপাতালে চিকিৎসা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

নদীয়ার শান্তিপুর থানার মতিগঞ্জ মোড়ে নামেই রয়েছে সরকারি পশু চিকিৎসা কেন্দ্র। অথচ নেই পশু চিকিৎসার চিকিৎসক। কোনরকমে কম্পাউন্ডারের মাধ্যমে চলছে সেই পশু চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রাণের থেকেও বেশি ভালোবেসে যারা অবলা জীবদের লালন পালন করেন, সেই সব পশুপ্রেমী মানুষরা পশুদের অসুস্থতা হয়ে যাওয়ার পর নিয়ে যান সেই পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে সেইসব অসুস্থ পশুরা পায় না ঠিকমতো চিকিৎসা। ফলে কারো দীর্ঘদিনের গরু বা প্রিয় কুকুরটিকে চিকিৎসার অভাবে মারা যায়। পশুপ্রেমীদের অভিযোগ, পশুদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছেনা চিকিৎসককে। কম্পাউন্ডার ও নাইটগার্ডে রা না বুঝেই পশুদের দিচ্ছেন ইঞ্জেকশন এমনটাই অভিযোগ করছেন গবাদি পশু পালন করা কৃষকরা। প্রিয় পশুদের বাঁচানো যাচ্ছে  না। বাড়ির পোষ্যদের নিয়ে এসে পাওয়া যায়না চিকিৎসা। কার্যত বিনা চিকিৎসার অভাবে পশুরা মারা যাচ্ছে। কাউকে বলে কোন কাজ হচ্ছে না। তিন বছরের ওপরে এই চিকিৎসাকেন্দ্রে পশুদের কোন ডাক্তার নেই। যদিও এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট কৃষ্ণচন্দ্র মৃধা। তিনি জানিয়েছেন,’ আমরা কি করব?এই চিকিৎসাকেন্দ্র ডাক্তার রিটায়ার্ড করেছেন। নতুন কোন ডাক্তার এখনো পোস্টিং করা হয়নি। তাই আমরা যেমন জানি সেই ভাবে চিকিৎসা করার চেষ্টা করছি। এর বেশি বলতে পারবোনা।’ ওই পশু চিকিৎসা কেন্দ্র চিকিৎসা ভালোমতো না হওয়ার কারণে নিজের পোষ্য কুকুরকে প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান কুকুরের মালিক মদনমোহন সালমা। তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করেছেন,’ এটা কার্যত জঙ্গলে রাজত্ব চলছে। এখানে কোন ওষুধ পালা নেই। ডাক্তার পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হয়।’ নিজের ৭৫ হাজার টাকা দামের গরু স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে বাঁচাতে পারেননি শান্তিপুর সুত্রাগড় সেন পাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় বিশ্বাস। তার অভিযোগ,’ এখানে দীর্ঘদিন ধরে কোন ডাক্তার নেই। ঔষধ পত্র পাওয়া যায় না। ৮ হাজার টাকা খরচা করে আমি আমার গরুকে বাঁচাতে পারিনি।’ বাড়ির পোষ্য খরগোশকে নিয়ে এসে ডাক্তারের অভাবে চিকিৎসা পারিনি শান্তিপুরের বাসিন্দা সুভাষ বাবু। ওই পশু চিকিৎসা কেন্দ্র শান্তিপুরের মানুষের ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে। অথচ ডাক্তার রিটার্ড করার পরে নতুন করে কেন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়নি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে এ বিষয়ে ফুলিয়ায় অবস্থিত  প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আধিকারিক মুখ খুলতে চাননি।

 কেনই বা পাওয়া যায় না পশুদের চিকিৎসার ওষুধ, মেলেনি সেই প্রশ্নের উত্তর।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর