‘মশাল যেন জ্বলতে থাকে’, এই ভাষাতেই একশো বছরের ইস্টবেঙ্গলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা মোদির

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20200802-WA0016

এনবিটিভি ডেস্ক: করোনার আবহ না থাকলে উত্সব হত। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে উতসব আয়োজনের প্রশ্নই নেই। একশো বছরে পা রাখল দেশের অন্যতম সেরা ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। অথচ করোনা সমস্ত হই হুল্লোড়ে যেন জল ঢেলে দিল। কোনও আড়ম্বর, আয়োজন ছাড়াই কেটে গেল ইস্টবেঙ্গলের ১০০ বছরের জন্মদিনের প্রহর। সমর্থকরা প্রিয় ক্লাবের উঠোনে ভিড় করে দাঁড়াতে পারলেন না। নিজেদের মধ্যে হইচই, আনন্দোত্সব করা গেল না। কোনও অনুষ্ঠান হল না। তবে এই পরিস্থিতিতে লাল-হলুদ সমর্থকরা মাস্ক বিলি করে, দুঃস্থ মেধাবি ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সাহায্য করে, সংবর্ধনা দিয়ে ঐতিহাসিক দিন উদযাপন করলেন।

দেশের সব থেকে প্রাচীন ক্লাবগুলির মধ্যে অন্যতম ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তে শুভেচ্ছা জানাতে ভুললেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্লাব, ফুটবলার ও সমর্থকদের আলাদা করে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এটাও উল্লেখ করলেন, সমর্থকদের ছাড়া ক্লাবের অস্তিত্ব নেই। সমর্থকরাই যে কোনও ক্লাবের সেরা সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী এদিন টুইটারে লিখলেন, “ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০০ বছর পূর্তিতে ক্লাবের ফুটবলার, সদস্য এবং অবশ্যই সমর্থকদের জন্য শুভকামনা রইল। এই শুভ মুহূর্ত ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্র ও বাংলার ফুটবল ঐতিহ্যের জন্য একটি মাইলফলক। ইস্টবেঙ্গলের মশাল যেন চিরকাল এভাবেই ময়দানে আলো ছড়াতে থাকে!”

একশো বছরের জন্মদিনে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি লিখেছিলেন, “১০০ বছর ধরে, মাঠ কাঁপাচ্ছে যে দল, লাল-হলুদের ঝড়ের নাম ইস্ট বেঙ্গল”। শনিবার সকালে ক্লাব তাঁবুতে লাল-হলুদ পতাকা উত্তোলন করে ইস্টবেঙ্গল দিবসের সূচনা করা হয়েছিল। ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে প্রাক্তন ফুটবলার, কোচ এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন এই শুভ মুহূর্তে। ক্লাবের পতাকা উত্তোলনের পর কেক কেটে শতবর্ষ উদযাপন করা হয়। প্রকাশিত হয় বিশেষ আলমানাক।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর