নিউজ ডেস্ক : তবে বিশ্বকাপের চিরাচরিত কাঠামো, অর্থাৎ চার বছর পরপর টুর্নামেন্ট আয়োজনের বর্তমান কাঠামোতে পরিবর্তন আনার বিপক্ষে ইউরোপের ফুটবল খেলা দেশগুলোর পরিচালক সংস্থা উয়েফা এবং ওই মহাদেশের শীর্ষস্থানীয় ক্লাবগুলো।
বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ফুটবল ফেডারেশন একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ওই ১৬৬টি জাতীয় ফেডারেশনের সাথে আছে যারা দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার পক্ষে ভোট দিয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে এসব ফেডারেশন বলেছে যে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের আয়োজন একটি প্রতিভাবান প্রজন্মকে বঞ্চিত করছে, কারণ এর ফলে যথেষ্ঠ সুযোগ তারা পাচ্ছে না। বিবৃতিতে এটা স্পষ্ট যে ফেডারেশনগুলো মূলত এশিয়ার ফুটবল দলগুলো যে বিশ্বকাপে খেলতে পারছে না, সেদিকেই নজর দিয়েছে।
“ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের ১০০ বছর হতে চলেছে, কিন্তু এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন্সের বর্তমান সদস্যদের চার ভাগের একভাগও বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি,” বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
প্রতি চার বছর অন্তর আয়োজিত হয় মহিলা ও পুরুষ বিশ্বকাপ। কোনও একটি দেশ এই বিরাট আয়োজনের দায়িত্ব পেয়ে থাকে। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফান্তিনোর প্রস্তাব এবার থেকে দু’বছর অন্তর অন্তর পুরুষ এবং মহিলাদের এই বিশ্বকাপের আয়োজন করা যেতে পারে। প্রতি দু’বছর অন্তর ছেলে এবং মেয়েদের বিশ্বকাপ আয়োজন করা যায় কি না তা নিয়ে ২০২১ সালের মে মাসে গবেষণা শুরু করে ফিফা। ফিফার তরফে সেই প্রস্তাব উয়েফার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতেই চিন্তা শুরু হয়েছে ইউরোপীয় ফুটবল মহলে।
উয়েফা মনে করছে, ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বকাপের সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে ফিফা। যার ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউরোপের ক্লাবগুলি। আর্থিকভাবে ধাক্কা খাবে উয়েফাও। কারণ, ফিফার ভাবনা কার্যকরী করতে গেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যালেন্ডারই বদলে ফেলতে হবে। অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলির আয়োজন এক্ষেত্রে কীভাবে হবে, তা-ও বড় প্রশ্ন। তাছাড়া এমনটা হলে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়িং রাউন্ডের জন্যও সময় অনেকটাই কমে যাবে।
সেকারণেই ফিফার প্রস্তাবে রাজি নয় ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। তাঁরা বলছে, চার বছর ধরে বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষা যে আকর্ষণ তৈরি করে, দু’বছর পরপর বিশ্বকাপ হলে সেটা থাকবে না। এর ফলে ফুটবলারদের বিশ্রামের সুযোগ কমে যাবে। ছেলেদের বিশ্বকাপের আড়ালে মেয়েদের বিশ্বকাপের জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে উয়েফা। সব মিলিয়ে UEFA চাইছে যেনতেন প্রকারে ফিফার এই পরিকল্পনা আটকে দিতে।