নদীয়া, সুরজিৎ দাস, এনবিটিভি: এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত গোবিন্দপুর বিবেকানন্দ মধ্যপাড়া এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম সুমি হালদার বয়স ২৮ বছর। ওই গৃহধূর বাপের বাড়ী বহরমপুরে। ওই মহিলার বিয়ে হয় শান্তিপুরের বাসিন্দা পলাশ হালদারের সঙ্গে।
গতকাল দুপুরবেলা ওই গৃহবধূ বাড়িতে রাখা আগাছানাশক বিষ খেয়ে নেয়। এরপর জানাজানি হতে ওই গৃহবধূর স্বামী তাকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে নিকটবর্তী শান্তিপুর হসপিটালে। কিছুক্ষন চিকিৎসার পর মৃত্যু হয় ওই গৃহধূর । এরপর খবর দেওয়া হয় ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকজনকে। তারা এসে দাবি করেন ওই গৃহবধূকে বিষ খায়ানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূর আগেও একটি বিয়ে হয় এবং আগের পক্ষের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। ওই গৃহবধূ তার কন্যা সন্তানকে নিজের কাছে নিয়ে আসার জন্য তার স্বামীকে চাপ দিত আর এই নিয়ে বাঁধত পারিবারিক অশান্তি। তবে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যায়নি।
পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামী পলাশ হালদার কে আটক করেছে পুলিশ। আজ মৃতদেহটি কে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।