দেশে ফের কিছুটা বাড়ল করোনা সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯ টা অবধি দেশে করোনা আক্রান্ত হলেন ১৮ হাজার ৮৫৫ জন। এই সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ১৬৩ জনের।
নতুন করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ৭ লক্ষ ২০ হাজার ৪৮ জন। এরমধ্যে অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার ৬৮৬ জন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩৫২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ১০ জনের।
আরও পড়ুন – টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তির জের, জাদুকর পি সি সরকারের বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের
অন্যদিকে কেরল ও মহারাষ্ট্রে এখনও ৪০ হাজারেরও বেশি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে এখনও লকডাউন নিষেধাজ্ঞা থেকে বের হতে চাইছে না মহারাষ্ট্র সরকার। শুক্রবার এক বিবৃতি জারি করে উদ্ধভ ঠাকরে সরকার জানিয়েছে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে রাজ্য জুড়ে।
মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন গোটা রাজ্যেই লকডাউন নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
একটি সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানান, ব্রিটেনে যে করোনা স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল ভারতে সেই স্ট্রেনের প্রকোপ কম। এখনও পর্যন্ত এই স্ট্রেন মাত্র ১৫৩ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যাও দেশে ক্রমবর্ধমান।
অন্যদিকে নোভাভ্যাক্স করোনা ভ্যাকসিনের ছোট্ট ঘরোয়া ট্রায়ালের জন্য ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেলের (DCGI)-এর কাছে অনুমতি চেয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII)। সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদার পুনাওয়ালা শুক্রবার এই কথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নোভাভ্যাক্স ব্রিটেনের পরীক্ষায় ইতিমধ্যেই ৮৯.৩% কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।