জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোহে বিজিপের বিধায়কদের বিরুদ্ধে এফআইর ঠুকেছিল তৃণশূল কংগ্রেস। এবার পাল্টা তৃণমূল বিধায়কদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘চোর’ বলার অভিযোগে দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। এ ব্যা
দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে ‘অবমাননাকর এবং কুত্সিত’ মন্তব্যের অভিযোগে জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা রায় হেয়ার স্ট্রিট থানায় ৬০ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার দুটি অভিযোগ করেন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন।অভিযোগপত্র নিজের পোস্ট করে শুভেন্দু লিখেছেন, ”নিজেদের এই অসম্মানজনক আচরণের জন্য আপনাদের সকলকে শাস্তি পেতে হবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা।”
বিজেপির এফআইআর এর তালিকায় তৃণমূলের মন্ত্রী সুজিত বসু, বাবুল সুপ্রিয়, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, রথীন ঘোষদের মত বহু মন্ত্রীদের নামও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ধর্মতলায় শাহী সভার সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর। অম্বেডকর মূর্তির নীচে তৃণমূল পরিষদীয় দলের ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্লোগান ওঠে ”অমিত চোর! মোদী চোর! বিজেপির সবাই চোর।”
এরপর সভা শেষে শাহ কলকাতা ছাড়তেই খবর পেয়ে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভা চত্বরে আসেন শুভেন্দু। তৃণমূলের ধর্নার অদূরে পাল্টা কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পাল্টা স্লোগান দেন শুভেন্দু। শুভেন্দু নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়কেরাও ‘চোর চোর’ স্লোগান দিয়ে ওঠেন।
এই উত্তপ্ত আবহেই তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচির শেষে সকলকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনও থামেননি বিজেপি বিধায়করা। জোরে জোরে স্লোগান দিতে থাকে। এই ঘটনাতে ওই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলে থানায়ও যায় তৃণমূল।