বড় ভাইকে হত্যা মামলায় কারাগারে অন্তরীণ হাজতির মৃত্যু

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

inbound754588250388983082

শামীম সরকার স্টাফ রিপোর্টার
শামসুল মুসলিমীন মতি ওরফে কেজি মতি। ছবি: সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে অন্তরীণ শামসুল মুসলিমীন মতি ওরফে কেজি মতি (৫৫) নামে এক হাজতি মারা গেছেন।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কারাগার থেকে সোমবার ভোররাত ৪টা ৫০মিনিটে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাজতি শামসুল মুসলিমীন মতি ওরফে কেজি মতি জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরটেকী গ্রামের হারুন-অর-রশীদের ছেলে।

বড় ভাইকে খুন করার অভিযোগে পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট থেকে তিনি এ কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. বজলুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাজতি শামসুল মুসলিমীন মতি ওরফে কেজি মতি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তাকে গত ২৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কারারক্ষীদের প্রহরায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল।

সেখান থেকে রিলিজ পাওয়ার পর থেকে তিনি জেলা কারাগার হাসপাতালের চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার ভোররাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুততম সময়ের তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ভোররাত ৪টা ৫০মিনিটে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাজতির মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের লোকজনদের জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জেল সুপার মো. বজলুর রশীদ।

কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক (তত্ত্বাবধায়ক) ডা. মো. হেলাল উদ্দিন জানান, হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শামসুল মুসলিমীন মতি ওরফে কেজি মতি নামের ওই হাজতিকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ময়নাতদন্তের পর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো: বজলুর রহমান।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর