২ কোটির জমি ৫ মিনিট পরে ১৮ কোটি টাকায় কিনল রামের নামে মন্দির নির্মাতারা, তদন্ত দাবি AAP,SP এর

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210614_114546

নিউজ ডেস্ক : বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে বিতর্কিত রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি পদে পদে দুর্নীতি এবং আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসছে। এবার অযোধ‍্যায় রাম মন্দিরের জমি কেনার ক্ষেত্রে বহু কোটি টাকার অনিয়ম সামনে এল। রবিবার একই সময়ে দেশের দুটি আলাদা আলাদা জায়গা থেকে প্রেস কনফারেন্স করে এই অভিযোগ করলেন দুই ভিন্ন দলের রাজনীতিবিদ।

 

AAP এর রাজ‍্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং লখনৌ থেকে এবং সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা অযোধ্যার প্রাক্তন বিধায়ক পবন‌ পান্ডে অযোধ্যা থেকে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। দু’জনেই অভিযোগ করেছেন, নিবন্ধিত চুক্তি অনুযায়ী মন্দির কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দ জমির অতিরিক্ত অংশ ২ কোটি টাকায় এক ব্যক্তির বিক্রি করার কথা চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১৮.৫ কোটি টাকায় ওই জমিটি শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টকে বিক্রি করা হয়। দু’জনেরই প্রশ্ন, কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি জমির দাম ২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৮.৫ কোটি টাকা কীভাবে হতে পারে?

 

দুই রাজনীতবিদই প্রেস কনফারেন্সে দুটি চুক্তিপত্রের অনুলিপি প্রকাশ করেছেন। প্রথম চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে কোনো এক কুসুম পাঠকের থেকে কোনো এক সুলতান আনসারি জমিটি কিনছেন। ১.২০৮ হেক্টর এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই জমিটির সরকারি হিসেব অনুযায়ী মূল্য হয় ৫.৭৯ কোটি টাকা। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী ২ কোটি টাকাতেই তা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। চলতি বছরের ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ৫.১১ মিনিটে এই বিক্রয় নথিভুক্ত হয়।

 

দ্বিতীয় চুক্তিপত্রটি ওইদিনই সন্ধ্যা ৫.২২ মিনিটে নথিভুক্ত করা হয়। যেখানে জমির মালিক হিসেবে সুলতান আনসারির নাম উল্লেখ রয়েছে এবং ১৮.৫ কোটি টাকায় রাম জন্মভূমি ট্রাস্টকে তা বিক্রি করা হয়েছে।

 

প্রেস কনফারেন্সে সঞ্জয় সিং বলেন, “পাঁচ মিনিটের মধ্যে কিভাবে একই সম্পত্তির মূল্য ২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৮.৫ কোটি টাকা হতে পারে? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং সিবিআইকে অবশ্যই এই বিষয়টির তদন্ত করে দেখতে হবে। ট্রাস্ট কী হিন্দু ভক্তদের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে?”

 

অপরদিকে সমাজবাদী পার্টির নেতা পান্ডে বলেন, “সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে ট্রাস্ট এবং মেয়র এই জালিয়াতির বিষয়ে পুরোটাই জানতেন। কোটি কোটি হিন্দুরা এই মন্দির নির্মাণের জন্য টাকা দিয়েছেন। কোনো প্রতারণামূলক কাজে তা ব্যবহার করা যাবে না।” বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। তবে মন্দির ট্রাস্টের তরফ থেকে এটাকে গুজব বলে মন্তব্য করা হয়েছে। দুটো চুক্তির মধ্যে এক বছরের ব্যবধান আছে বলে তারা জানিয়েছেন কিন্তু সেক্ষেত্রে বর্তমানে প্রকাশিত চুক্তি পত্রগুলো বানানো কি না সে ব্যাপারে ট্রাস্ট কোনো মন্তব্য করেনি। এমনকি তারা প্রকৃত সত্য উন্মোচনে আসল চুক্তি পত্র প্রকাশ ও করেনি।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর