নিউজ ডেস্ক : বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় লোক দেখানো কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে, হিন্দুত্ববাদীদের হামলার শিকার মুসলিমদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করার সময় অথবা অত্যাচারিত মুসলিমদের বিরুদ্ধে এনএসএ প্রয়োগের ক্ষেত্রে। কিন্তু সামাজিক অপরাধের প্রতিরোধ তাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে আসেনা। তাই জন্যই ধর্ষনের মতো সামাজিক অপরাধ সব থেকে বেশি পরিলক্ষিত হয় বিজেপি শাসিত মধ্য প্রদেশ এবং যোগী অধিনস্ত উত্তর প্রদেশে। এবার এক লোমহর্ষক ঘটনার খবর পাওয়া গেল মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া অঞ্চল থেকে। এক ১৩ বছর বয়সী কিশোরীকে বন্দী রেখে একদিনের মধ্যে বহুবার ধর্ষন করে ৯ নরপশু।
ওই কিশোরীকে ১১ থেকে ১২ জানুয়ারি তারিখের মধ্যে বারবার গণধর্ষন করে ৯ জন। এর আগে ৪ঠা জানুয়ারী তারিখে এই ৯ জনের মধ্যে ৪ জন মিলে গণধর্ষন করে তাকে কিন্তু তাদের হুমকির ভয়ে কিশোরী তা কাউকে জানায়নি। ১১ তারিখে রাস্তায় বের হওয়ার পর দুই ট্রাক চালক ওই কিশোরীকে অপহরন করে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে ওই দুই ধর্ষক তাকে অপহরণের পর একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে বার বার ধর্ষন করে। তারপর তাকে ট্রাকে করে নিকটস্থ ধাবায় নিয়ে যায়। সেখানে আরো ৪ ট্রাক ড্রাইভার এবং এক দোকান মালিকের গণধর্ষণের শিকার ওই অপহৃত কিশোরী। ধর্ষণের পর বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও তাকে ছেড়ে দেয়নি নরপশুর দলটি। সেদিন ট্রাকের মধ্যে বন্দী অবস্থায় রেখে আবার ১২ তারিখে আবার তারা ধর্ষণ করে ওই হতভাগ্য কিশোরীকে। তারপর তার অর্ধমৃত কিশোরীকে ফেলে যায় মহাসড়কের ওপর।
নবম শ্রেনীর একদল ছাত্রীদলকে দেখে সে সাহায্য চায় কিন্তু সেখানে কোনো লোকজন না থাকায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এক ট্রাক চালক এসে তাকে সাহায্য করার জন্য নিয়ে আবার ধর্ষন করে রাস্তার ওপর ফেলে চম্পট দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের পিতামাতার অভিযোগের পর খোঁজ করে তাকে উদ্ধার করে বলে জানা গিয়েছে। বহু চেষ্টার পরও কিশোরী কথা বলতে পারেনি।
উমারিয়ার এসপি বিকাশ কুমার জানিয়েছেন, “ডাক্তারদের মতে, তার শরীরে কোনো গভীর ক্ষতের চিহ্ন নেই। তবে সে এখনও মানসিক চেতনা ফিরে পায়নি। তাকে ডাক্তাররা নজরদারিতে রেখেছেন।” ঘটনায় জড়িত ৯ জনের মধ্যে ৭ জন পুলিশের জালে ধরা পড়েছে।