নিউজ ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনের পর হঠাৎ তৎপরতা শুরু করে সিবিআই। এত দিন নারদা দুর্নীতি মামলায় নিরব থাকার পর হঠাৎ গ্রেফতার করা হয় এই দুর্নীতির সঙ্গে অভিযুক্ত ৪ হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাকে। কিন্তু একই মামলায় জড়িত হলেও ছাড় পেয়ে যায় শুভেন্দু মুকুল শিশিরের মতো বিজেপি নেতারা। এবার তৎপরতা শুরু করল CID । আর্থিক তছরুপের অভিযোগে তলব করল ভাটপাড়া এর বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংকে।
ভাটপাড়া পুরসভা (Bhatpara Municipality) এবং ভাটপাড়া কো-অপারেটিভ ব্যাংকের টাকা তছরুপের অভিযোগে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের পাশাপাশি তাঁর ভাইপো সৌরভ সিংকেও হাজিরার নোটিশ দিয়েছে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। সব মিলিয়ে অর্জুনের বিরুদ্ধে সাড়ে ৪ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে রয়েছে। সিআইডি (CID) সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ন’টা নাগাদ সিআইডির একটি প্রতিনিধিদল পৌঁছয় জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবনে। সেসময় বাড়িতে ছিলেন না বারাকপুরের বিজেপি (BJP) সাংসদ। বাড়ির বাইরে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেন সিআইডি কর্তারা। কিন্তু তখনও অর্জুন না ফেরায় ভবানী ভবনের তরফে মজদুর ভবনের দেওয়ালে নোটিস সেঁটে দিয়ে আসা হয় সিআইডি তরফে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছর আর্থিক তছরুপের দায়ে দায়ের হওয়া অভিযোগের তদন্তে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিআইডি। আগামী ২৫ মে সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে সিআইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মূলত ভাটপাড়া কো-অপারেটিভ ব্যাংকের অর্থ তছরুপের অভিযোগ রয়েছে অর্জুনের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ভাটপাড়া পুরসভার টেন্ডার বেআইনিভাবে পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে এই বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। যে মামলায় আবার ইতিমধ্যেই পুরসভার এক কর্মী এবং এক ঠিকাদার গ্রেপ্তার হয়েছেন। যদিও এখনই অর্জুনের গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করছেন তিনি। তাঁর দাবি, এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকে রক্ষাকবচ নেওয়া আছে তাঁর। বিজেপি সাংসদের সাফ কথা, ‘সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নেওয়া আছে আমার। আমাকে ডাকতে পারে, কিন্তু গ্রেপ্তার করতে পারবে না।’ পাশাপাশি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতা। উল্লেখ্য বিজেপির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ শুধু তৃণমূল কংগ্রেস নয় তুলেছে সব বিরোধী দল থেকে বুদ্ধিজীবী মহলের সবাই। অবশ্য বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করার অভিযোগ আজ নতুন নয়।