লকডাউনে শহরে বন্ধ হোটেল! হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনদের কার্যত অনাহারেই কাটত। এই সমস্যা দেখে এক মানবিক উদ্যোগ চাঁচলের সংস্থা “যুবশক্তির”।
লকডাউনে রোগীর পরিজনদের একটাকায় ভরপেট খাওয়ানোর উদ্যোগ নিল যুবকরা।শুক্রবার দুপুরে মালদহের চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে বটগাছের নীচে শিবির করা হয়। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে লাইন করে দেওয়া হল একটাকা বিনিময়ে খাবার। পাতে ছিল ভাত,সয়াবিন,ঝোল সহ ডিম ও পাপড় ভাজা। এছাড়াও ছিল বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থাও।
এদিন চাঁচলের যুব শক্তি নামক একটি হোয়াটস্যাপ গ্রুপের উদ্যোগে এই কর্মসূচি গ্রহন করা হয় বলে জানা গেছে।
গ্রূপের বাবু সরকার, রকি, জামাল, সিদ্ধার্থ, জ্যাকি, সয়েল, রিন্টু সহ একদল সদস্য ভ্যানে করে খাবার নিয়ে পৌঁছে যায় চাঁচল হাসপাতালে। রোগীর সাথে তাদের পরিজনেরা নিজেরাই এসে লাইন দিয়ে দূপুরের খাবার সংগ্রহ করে।
খাওয়ার খেয়ে রোগীর পরিজন তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা ভরতকুমার দাস বলেন,কাল থেকে হাসপাতালের বাইরে রয়েছি।স্ত্রী খুব অসুস্থ।হাসপাতাল থেকে রোগীর খাওয়ার জুটলেও বাইরে তাকে আধপেটে থাকতে হচ্ছিল বলে জানালেন তিনি।দুপুরের খাওয়ার পেয়ে খুশি তিনি।
গ্রুপের সদস্য ইমরান খান বলেন,আমাদের গ্রূপে কেউ ব্যবসায়ী,চাকুরীজীবি,ও ছাত্ররাও রয়েছে।সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে চাঁদা তুলেই এক কর্মসূচি গ্রহন করতে সক্ষম হয়েছি।
আপাতত শুক্রবার থেকে শুরু হলেও রাজ্য সরকার যতদিন লকডাউন ঘোষনা করেছেন ততদিন এই ভরপেট খাওয়ার চলবে।এদিন প্রায় দেড়শো জনকে খাওয়ার দিতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে।তবে রোজ প্রস্তুত খাদ্যের তালিকা বদল হবে বলে জানিয়েছে যুব শক্তি গ্রুপ। সঙ্কনজনক মুহুর্তে তাদের এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার ডাঃ লায়েক আলি জার্দারি,মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল সহ গোটা চাঁচলবাসী।