নিউজ ডেস্ক : ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে যে রামমন্দির তৈরি হচ্ছে তা নকল, আসল রামমন্দির তৈরি হচ্ছে রামের প্রকৃত জন্মভূমি নেপালে। এমনটাই দাবি নেপালের কে পি ওলি সরকারের। এবার সেই দাবি অনুসারে সে দেশে তৈরি হচ্ছে রামমন্দির। নেপালের সরকার ৩৫০ মিলিয়ন বা ৩৫ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে বিখ্যাত পশুপতিনাথ মন্দির সংস্কারে। এছাড়াও নেপালের অযোধ্যাপুরিতে (অযোধ্যাপুরিকে রামের প্রকৃত জন্মস্থান বলে মনে করে নেপালের মানুষ) রামমন্দির নির্মাণ করার জন্যও বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে এবারের দেশটির জাতীয় বাজেটে। শনিবার চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই নেপালের বর্তমান সরকারের অর্থ মন্ত্রক তাদের ১৬৪৭.৬৭ বিলিয়ন নেপালি রুপির বাজেট পেশ করেছে। এ বাজেটের একটি অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে শুধু এ রামমন্দির প্রতিষ্ঠায়।
নেপালের অর্থ মন্ত্রণালয় ৩৫০ মিলিয়ন বা ৩৫ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে বিখ্যাত পশুপতিনাথ মন্দির সংস্কারে। ইউনেস্কো এ মন্দিরটিকে হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়াও বাজেটের একটি বিশাল অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে নেপালের ছিটাওয়ান জেলার অযোধ্যাপুরিতে এক বিশাল রামমন্দির নির্মাণের জন্য। অন্যদিকে ভারতে রামমন্দির তৈরির জন্য জবরদস্তি করে মুসলমানদের থেকেও আদায় করা হয়েছে বিশাল পরিমাণ চাঁদা। সেই চাঁদার কোটি কোটি টাকার খেলার মাঝে পাওয়া গিয়েছে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। তবে এখনও পর্যন্ত রামমন্দির তৈরির কাজ সেই অর্থে শুরুই হয়নি। দেখা গিয়েছে যেখানে রামের জন্ম ভূমি বলে দাবি করা হচ্ছে তার নিচে তীব্র জলস্রোতের অস্তিত্ব রামমন্দির তৈরির প্রধান অন্তরায়। ঐতিহাসিকদের মতে সেখানে ওই জলস্রোত প্রমাণ করে প্রাচীনকালে ওখানে নদীর মতো কিছুর অস্তিত্ব ছিল ফলে সেখানে রামের জন্মের গল্প একেবারে বানোয়াট।
রামমন্দির নির্মাণের জন্য কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে তা জানানো হয়নি। নেপালের ভারত বিরোধী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি গত বছরের জুলাইয়ে বলেছিলেন, রামের জন্মস্থান অযোধ্যা শহর আসলে নেপালে অবস্থিত, ভারতে নয়। তিনি আরো বলেন, ভগবান রাম নেপালের দক্ষিণাঞ্চলের থোরিতে জন্মেছিলেন।