দুইয়ের বেশি সন্তান নিলে রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না, জানালেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : আসামের পূর্ববর্তী মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও দুই সন্তান নীতি কার্যকর করার চেষ্টা করেছিলেন। বলেছিলেন, দুই সন্তানের বেশী থাকলে মিলবে না সরকারি চাকরি। তবে ভোট থাকার কারণে তুলনামূলক কম কট্টরপন্থী সনোয়াল তা কার্যকর করতে পারেননি। কিন্তু হেমন্ত শর্মা আসামের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই জানান, দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে সরকারি সুবিধা পাবেন না। এমনটা আগে জানিয়েছিল আসাম সরকার। তবে এদিন তিনি আরো একধাপ এগিয়ে বলেনজ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে দুই সন্তান নীতি মেনে চলতে হবে। তবে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না বলে তিনি জানান।

 

 

মুখ্যমন্ত্রীরা পাঁচ ভাই। বৃহৎ পরিবার নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন হিমন্ত। শনিবার হেমন্ত বিরোধীদের এই অভিযোগ পুরাতন যুগে ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, সেই যুগে কি হয়েছে তা ভেবে বর্তমান চলবে না।

 

 

চলতি মাসেই শুরুতে ‘ভদ্রস্থ পরিবার পরিকল্পনা’ প্রসঙ্গে অভিবাসনকারী মুসলিম মহিলাদের নিশানা করেছিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ‘দারিদ্র দূর ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে মুসলিম মহিলাদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এক্ষত্রে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসান জন্য আমার আহ্বান থাকলো।’ দরিদ্রের অভিশাপ দূরীকরণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত প্রয়োজন বলে দাবি হিমন্তর। মুসলিমদের মধ্যে দুই সন্তান নীতি কার্যকর করতে রাজ্যটিতে সবথেকে প্রভাবশালী মুসলিম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বদরুদ্দিন আজমলের সঙ্গে তার কথা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে আজমল তার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

 

 

আসাম পঞ্চেয়েত আইন ২০১৮ অনুসারে, যাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হবেন তাঁদের দু’য়ের বেশি সন্তান থাকলে চলবে না, নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা তাকতে হবে। প্রার্থীর বাড়িতে শৌচাগার থাকাও বাধ্যতামূলক।

Latest articles

Related articles