নিউজ ডেস্ক : ২৬ শে জুলাই মিজোরাম এবং আসামের মধ্যেকার সংঘর্ষের পর দুই রাজ্যের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আর কোনো সংঘর্ষ না হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে বাকবিতণ্ডা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঘটনা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এদিকে মিজোরাম ভ্রমণ করতে নিজেদের অধিবাসীদের নিষেধ করেছে আসাম সরকার। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত শর্মা সহ আর ৪ উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে মিজোরাম পুলিশ। তাদের সবার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা অভিযোগ আনা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। এছাড়াও একই মামলা রুজু করা হয়েছে ২০০ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
এই মামলায় অসম পুলিশের চার শীর্ষ কর্তা, দুই আমলা এবং ২০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে। মিজোরামের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (হেডকোয়ার্টার) জন নেহলাইয়া সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, অসমের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, অস্ত্র আইন এবং মিজোরাম কনটেনমেন্ট অ্যান্ড প্রিভেনশন অব কোভিড-১৯ অ্যাক্ট ২০২০-তে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অসম পুলিশের আইজিপি-র নেতৃত্বে ২০০ জনের সশস্ত্র দল জোর করে পুলিশ ক্যাম্প দখল করতে এসেছিল। তা থেকেই সংঘর্ষ তৈরি হয়।
হেমন্ত শর্মা বার বার অভিযোগ করেছেন এই ঘটনার পিছনে মিজোরামের অধিবাসীরা দায়ী। তারাই প্রথমে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল যার ফলে সংঘর্ষ বাঁধে। তবে মিজোরাম সরকার সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। তারা পাল্টা অভিযোগ করেছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও মিজোরামের জোরামথাঙ্গা দুজনেই জানিয়েছেন এই পরিস্থিতি বজায় থাকুক তারা চান না। তবে গুলি চালানোর ব্যাপারে মিজোরামের অভিযোগ নসাৎ করেছে অসম।এদিকে শুক্রবার সকালেই নিজের রাজ্যের বাসিন্দাদের মিজোরাম যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল অসম সরকার।