এনবিটিভি ডেস্কঃ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে নিযুক্ত হতে চলেছেন হিন্দুত্ববাদী ডঃ সন্তিশ্রী ধুলিপুদি পণ্ডিত। তিনি একজন হিন্দু কট্টরপন্থী হিসাবে বেশ পরিচিত। তিনি তার টুইটারে খ্রিস্টান ও মুসলিমদের গণহত্যা, দিল্লিতে সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র ও কৃষি বিল বিরোধী কৃষকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা মূলক বক্তব্যর জন্য খ্যাতি সম্পন্ন এই নব নিযুক্ত মহিলা ভাইস চ্যান্সেলর।
দীর্ঘদিন ধরে শাসক দলের পক্ষনিয়ে নানান ধরনের বিদ্বেষ মূলক টুইট করে আসছিলেন ডঃ সন্তিশ্রী ধুলিপুদি। সোমবার জেএনইউ-এর ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে নিয়োগের পরে তার আপত্তিকর টুইটগুলি মুছে ফেলেন তিনি।
শাহিনবাগের মহিলারা হোক বা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা কৃষক বা জেএনইউ এবং জামিয়ার ছাত্ররা তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে, কেউই তার হাত থেকে রেহাই পায়নি। টুইটার একাউন্ট দেখলে তার ঘৃণ্য মানসিকতার চিত্র গুলি ফুটে উঠবে।
তিনি টুইটারে শাহীন বাগের মহিলাদের সম্পর্কে টুইটে বলেন ‘জিহাদি’। অন্যদিকে তিনটি কৃষি বিল বাতিলের জন্য কৃষকদের আন্দোলনকে নয়া ভাইস চ্যান্সেলর মন্তব্য করে বলেছিলেন, “মিথ্যাবাদী এবং হেরে যাওয়া।” জনপ্রিয় ইসলামোফোবিক বা ইসলাম বিদ্বেষী বর্ণনার ভিত্তিতে তিনি প্রায়শই ইসলামকে টার্গেট করছেন।
তিনি প্রকাশ্যে ভারতীয় মুসলমানদের বন্দী করে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি টুইটারে বলেন, “চীনারা যেমন মানসিকভাবে অসুস্থ (মুসলিম) জিহাদিদের সাথে করে, ঠিক তেমনটাই করো।” মুসলিম যুবকদের বিরুদ্ধে রটানো ‘লাভ জিহাদ’ নামাক বিদ্বেষমূলক প্ররোচনার মতো ইস্যুতেও ছাড় দেয়নি তিনি।
অন্যান্য হিন্দু উগ্রপন্থীদের মতো তিনিও নাথুরাম গডসের দ্বারা মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকে স্বাগত জানিয়েছেন। একটি টুইট বার্তায় তিনি বলেন যে, “গডসে এমন একজন ব্যক্তি তিনি মহাত্মা গান্ধীর হত্যার মধ্যে একটি অখন্ড ভারতের সমাধান চিহ্নিত করেছেন।”
জানা গিয়েছে তিনি ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কট্টর সমর্থক। তিনি সাংবাদিক অ্যাক্টিভিস্ট এবং হলিউড অভিনেত্রী ও গায়িকা রিহানা এবং ভারতীয় সাংবাদিক আরফা খানম শেরওয়ানির মতো চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের প্রতি অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্যও উল্লেখ করে তুলোধোনা করেছেন।
যদিও ডঃ সন্তিশ্রী ধুলিপুদি সোমবার তার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিতর্কিত মন্তব্যগুলি মুছে ফেলেন। নেটিজেনরা জেএনইউ-এর ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে তার নিয়োগের পরে তার আপত্তিকর টুইটগুলি মুছে ফেলা শুরু করেন।
নতুন হিন্দুত্ববাদী ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ নিয়ে বেশ শোরগোল পরে গেছে সুশীল সমাজে।