হাসিবুর রহমান, দক্ষিন ২৪ পরগনার:- গত প্রায় চার মাস আগে শাস্ত্রীয় মতে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যদিয়ে চার হাত একত্রিত হয়েছিল ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদির জয়দেব মাঝির সাথে ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বপ্না শিকারীর। শ্বশুর এসে স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ায় ফিনাইল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ওই যুবকের।
অভিযোগ, নানান অছিলায় ওই যুবকের স্ত্রী তার বাপের বাড়িতে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতো।এমন টা ভালো চোখে নিতো না পেশায় শ্রমিক জয়দেব। গতকাল সকালে ওই যুবকের শ্বশুর গিয়েছিলেন তার বাড়িতে। সেখানে গিয়ে মেয়েকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাধা দেয় স্বপ্নার স্বামী। সকল বাধা অগ্রাহ্য করে বাপের বাড়িতে চলে যায় তার স্ত্রী।স্ত্রীর প্রতি অসীম ভালোবাসা থাকায় এমনটা মেনে নিতে পারেনি ওই যুবক। স্ত্রী কে কাছে পেতে আচমকাই এক বোতল ফিনাইল খেয়ে ফেলে সন্ধ্যায়।অসুস্থ হয়ে কাতরাতে থাকে।
প্রতিবেশীরা এমন অবাক করা কান্ড জানতে পেরে ওই যুবক কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই ওই যুবক চিকিৎসাধীন রয়েছে।হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ওই যুবক জানিয়েছে ‘মাত্র চার মাস আগে বিয়ে হয়েছে। প্রায় সময়ই বাপের বাড়িতে চলে যায় স্ত্রী । ওকে খুব ভালোবাসি,তা স্বত্বেও বাপের বাড়িতে ঘন ঘন যায়। আমার স্ত্রী চলে যাওয়ায় মর্মাহত হয়ে পড়ি। যার ফলে ফিনাইল খেয়েছি”।