মৃত্যু হল রাসূল (সাঃ) এর অবমাননাকর ব্যঙ্গচিত্র আঁকা কুখ্যাত শিল্পী ওয়েস্টগার্ডের

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

6-20-735x400

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র আঁকা ডেনমার্কের শিল্পী কার্ট ওয়েস্টারগার্ড মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ৮৬ বছর বয়সে ঘুমের মধ্যেই ওয়েস্টারগার্ড মারা যান বলে রবিবার ড্যানিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে তার পরিবার।২০০৫ সালে হজরত মুহাম্মদ (স.) ব্যঙ্গচিত্র আঁকার কারণে কুখ্যাত হয়েছিলেন এই কার্টুনিস্ট। তখন তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল গোটা বিশ্বের মুসলিমরা।

 

 

বিবিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেনমার্কের এই শিল্পী রক্ষণশীল জিল্যান্ডস-পোস্টেন পত্রিকায় ১৯৮০’র দশকের শুরুর দিক থেকে কাজ করতেন। ওই পত্রিকায় ‘দ্য ফেস অব মোহাম্মদ’ শিরোনামে ওয়েস্টারগার্ডের ১২ টি ব্যাঙ্গচিত্র ছাপা হয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত হয়েছিল নবী (সাঃ) এর মাথায় বোমা আকারের পাগড়ি পরানো একটি ব্যাঙ্গচিত্র। যা নিয়ে তৎকালীন মুসলিম বিশ্বে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

 

 

 

বিভিন্ন দেশের ডেনমার্কের দূতাবাসে হামলা হয় এবং সংঘর্ষে বেশকিছু মানুষ মারাও গিয়েছিল। এই দাঙ্গা-হাঙ্গামার প্রেক্ষাপটে ডেনমার্ক এবং এর বাইরের বিশ্বেও সে সময় ইসলামবিদ্বেষ এবং বাকস্বাধীনতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার সীমা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

 

২০১২ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের সাপ্তাহিক পত্রিকা শার্লি হেবদো-তে আবার মহানবীর (স.) ওই কার্টুন প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৫ সালে পত্রিকাটিতে হামলার ঘটনায় ১২ জন নিহত হয়।

 

মুহানবী (সা.) কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র আঁকার কারণে ওয়েস্টারগার্ড কে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রদান করে দেশটির সরকার। প্রথমে তিনি আত্মগোপন করে থাকলেও পরে প্রকাশ্যেই বাড়িতে কড়া পাহারাধীনে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

 

 

জীবনের শেষ দিনগুলোতে ওয়েস্টারগার্ড একটি গোপন স্থানে দেহরক্ষী নিয়ে থাকতেন। ২০০৮ সালে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে এক সাক্ষাৎকারে ওয়েস্টারগার্ড জানিয়েছিলেন, ব্যাঙ্গচিত্রগুলো আঁকা নিয়ে তিনি অনুতপ্ত নন।কারণ তিনি মনে করতেন, এই ব্যাঙ্গচিত্রগুলো পশ্চিমা দেশগুলোতে ইসলামের অবস্থান এবং ধর্মনিরপেক্ষ মূল্যবোধ নিয়ে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে। কিন্তু, তথাকথিত এই নাস্তিক বাকস্বাধীনতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ঠিকাদার কোনোদিন অন্য কোনো ধর্মের বিষয়ে তার বাকস্বাধীনতার প্রয়োগ করেননি। তার তৈরি মুসলিম বিদ্বেষী এই অঙ্কন প্রবণতা ইউরোপে মুসলিম বিদ্বেষ বা ইসলামোফোবিয়া বিস্তারে অনেকটাই দায়ী। তার দেখানো পথে চলতে গিয়ে মুসলিম বিশ্বের হৃদয়ের রক্তক্ষরণের করো হয়েছেন বহু মুসলিম বিদ্বেষী। এই কারণে প্রাণ হয়েছে বহু নিরীহ মানুষের।

 

 

সূত্র : অজানা নিউজ

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর