যুব শক্তির অভাব চীনে! জন্ম নিয়ন্ত্রণ নীতিতে পরিবর্তন করে ৩ সন্তানের অনুমতি দিল চীন

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

gettyimages-494865698

নিউজ ডেস্ক : পৃথিবীর বৃহত্তম জনসংখ্যার অধিকারী চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির জোরপূর্বক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে দেশটিতে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত। জনগণের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে গত কয়েক দশকে ব্যাপক উন্নতি করা চীনে। জন্ম হার হ্রাস পাওয়ায় যুব সমাজের আয়তন কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ফলে উদীয়মান পরাশক্তি চীনে অভাব পড়ছে কর্মক্ষম যুব শক্তির। তাই জোরপূর্বক দুই সন্তানের জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতি এবার পরিবর্তন করে তিন সন্তানের অনুমতি দিচ্ছে সরকার। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে চীনের বহু দম্পতি ইচ্ছুক নন তৃতীয় সন্তান নিতে।

 

বেজিংয়ে সংবাদসংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বছর বাইশের স্নাতকোত্তর ছাত্রী ইয়ান জিয়াকি বলেন, “আমার পরিচিত বহু মহিলাই তৃতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা শুনলেই ক্ষেপে যাচ্ছেন। তাঁদের সামনে ভুলেও ওই কথা বলবেন না।” শি জিনপিং সরকারের তিন সন্তান নীতি নিয়ে ‘ইউনিভার্সিটি অফ উইসকনসিন-ম্যাডিসন’-এর গবেষক ওয়াই ফুকশিয়ান বলেন, “দীর্ঘদিনের সরকারি নীতির ফলে একটি মাত্র সন্তান জন্ম দেওয়া বা নিঃসন্তান থাকায় চিনের সামাজিক প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” এছাড়া, ‘ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স’-এর মতে চিনা জনগণের মধ্যে প্রজননের হার প্রয়োজনের চাইতে কম।

 

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই ‘সন্তান’ নীতি পরিবর্তনের কথা ভাবনাচিন্তা করছিল চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। অবশেষে সোমবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো বৈঠকের পর ‘অচলায়তন’ ভাঙার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও। এদিনের বৈঠকে দেশে বাড়তে থাকা বার্ধক্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা। পাশাপাশি এই সমস্যা মোকাবিলায় আরও একাধিক নীতি বদলেরও ইঙ্গিত মিলেছে। ১৯৭৯ সালে চিনে বিতর্কিত এক সন্তান নীতি চালু করা হয়। লক্ষ্য ছিল অতি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া জন্মহার কমানো এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানো। দীর্ঘদিন ধরে কার্যত জোর করে এই নীতি মানতে বাধ্য করা হত। জোর করে গর্ভপাত-সহ একাধিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হত। অবশেষে ২০১৬ সালে এক সন্তান নীতি বাতিল করা হয়। বদলে দুই সন্তানের জন্মে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেই নীতিও পরিবর্তনের জন্য চাপ তৈরি হচ্ছিল। তবে এই নীতি চালু করায় নব প্রজন্মের অনেকে খুশি না হওয়ার কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন তারা দুই সন্তান নীতির সঙ্গেই পরিচিত তাই তাদেরকে নতুন নীতির সুফল এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বোঝাতে হবে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর