মোঃ মাহিদুল হাসান (মাহি)
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সিমাবাড়ী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারন সহ দেশবাসীকে বিজয় দিবসের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক দানবীর মোঃ সাইফুল ইসলাম খান।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন-৫০ বছর আগে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে এসেছিল বাংলার স্বাধীনতা। এই দেশে উদিত হয়েছিল নতুন এক সূর্য। সে সূর্য কিরণে লেগে ছিল রক্ত দিয়ে অর্জিত বিজয়ের রঙ। সেই রক্তের রঙ সবুজ বাংলায় মিশে তৈরি করেছিল বাংলার লাল সবুজ পতাকা। যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের ৭ ই মার্চ ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে জাতিকে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছিলেন সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই পরাজয় মেনে নিয়ে মাথা নত করে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য অস্ত্র সমর্পন করেছিল বাঙালি জাতির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে।
তিনি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে স্মরণ সেইসব শহীদদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা। স্মরণ করেন সেইসব বীর সেনানীদের যারা শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য প্রাণের মায়া ত্যাগ করে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। যেসব নরনারীর সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সম্মান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন বিজয় দিবস বাঙালীর হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরব ও অহংকারের দিন। দীর্ঘ নয় মাস বিভীষিকাময় সময়ের পরিসমাপ্তির দিন। লক্ষ লক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তস্রোত, স্বামী-সন্তানহারা নারীর অশ্রুধারা, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা, আর বীরাঙ্গনাদের সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে নয় মাসের যুদ্ধ শেষে অর্জিত হয়েছিল মহান এই বিজয়। ৫০ বছর আগে ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের ঠিকানা।
দীর্ঘ নয়মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙ্গালী জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। এলো হাজার বছরের কাঙ্খিত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি অর্জন করলো তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার।
মোঃ সাইফুল ইসলাম খান বলেন বিজয়ের ৪৯ বছর পেরিয়ে এবার আসছে ৫০তম বিজয় দিবস। বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের বিজয় দিবস আসছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে সবাই সামাজিক দুরত্ব বজায় আমরা বিজয় দিবস পালন করবো। আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ।