নিজামুদ্দিন মসজিদে আবার শুরু হবে নামায,মোদি সরকারের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও রায় দিল দিল্লী হাইকোর্ট

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210416_103502

নিউজ ডেস্ক : মোদি সরকারের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও দিল্লি নিজামউদ্দিন আউলিয়া মসজিদে নামাজের অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তরফ থেকে রায়ে বলা হয়েছে, দিল্লি নিজামউদ্দিন আউলিয়া মসজিদে এককালীন ৫০ জন মুসল্লি জামাতে নামাজ পড়তে পারবে তবে সে ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বিধি এবং অন্যান্য করোনা বিধি যথাযথ পালন করতে হবে।

 

মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কোন জমায়েত করা যাবে না। নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে মসজিদটির প্রথম তলায়। রায়ে জানিয়েছেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারক মুক্তা গুপ্ত। যদিও মসজিদটি বন্ধ রাখতে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। বিচারপতি কেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করেন, কোন যুক্তিতে এই নির্দিষ্ট একটি ধর্মীয় স্থান বন্ধ রাখা হচ্ছে যখন দিল্লি তথা দেশের প্রায় সব ধর্মীয় স্থাপনা মুক্ত রয়েছে? কেন্দ্রের তরফ থেকে যথাযথ জবাব না পেয়ে মসজিদটি খুলে দেওয়ার আদেশ দেন বিচারপতি। এর আগে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছিল দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া মসজিদ খোলা হবে এই শর্তে যে সেখানে মাত্র ২০ জন মুসল্লির নামাজ আদায় করতে পারবে তাও মোদি সরকারের দ্বারা তৈরি করা একটি ২০০ জন মুসল্লির তালিকা থেকে। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের এই নির্দেশিকা বাতিল করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানায়, ধর্মীয় স্থাপনা গুলি কোন নির্দিষ্ট সংখ্যক এবং পূর্ব নির্ধারিত লোকেদের জন্য খোলা রাখা যায় না, এগুলি সর্বসাধারণের জন্য। যে কেউ তাতে প্রবেশ করতে পারে। তবে হাইকোর্টের এই রায়ের পরে ও দিল্লির ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি একটি নির্দেশিকা জারি করে দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া মারকাজ মসজিদ বন্ধ করতে বলে। তারপরেই গতকালের রায় দিল হাইকোর্ট। তবে করোনা ভাইরাস এর এই দ্রুত সংক্রমনের মাঝে যদি দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি যদি কোনো নির্দেশিকায় সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ জারি করে সে ক্ষেত্রে বন্ধ করতে হবে নিজামুদ্দিন আউলিয়া মসজিদ ও।

 

উল্লেখ্য গত বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমনের প্রাথমিক ঢেউ ঠেকাতে দেশব্যাপী বলবৎ করা লকডাউনের প্রথম দেখেই দেশের গেরুয়া মিডিয়ার অপপ্রচারের কারণে গত বছরের ৩১ শে মার্চ তারিখে বন্ধ করতে হয় দিল্লির নিজামুদ্দিন আউলিয়া মসজিদ। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে মসজিদ এবং তার সংলগ্ণ মাদ্রাসা এবং হোস্টেল। হাইকোর্টের রায়ের ফলে মসজিদটি আংশিকভাবে খোলা হলেও বন্ধ থাকছে মাদ্রাসা এবং হোস্টেল।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর