এবার ‘বুল্লি বাই’ ও ‘সুল্লি ডিল’ মামলায় চার্জশিট দাখিল করল দিল্লি পুলিশ

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

'বুলি বাই' ও 'সুল্লি ডিল' মামলায় গ্রেফতার অভিযুক্ত।
'বুলি বাই' ও 'সুল্লি ডিল' মামলায় গ্রেফতার অভিযুক্ত।

এনবিটিভি ডেস্কঃ  ৪ মার্চ শুক্রবার বুল্লি বাই মামলার জন্য  ২ হাজার পৃষ্ঠা ও সুল্লি ডিলস মামলার জন্য ৭০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করল দিল্লির স্থানীয় আদালত। গত বছরের জুলাই মাসে ও চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম মহিলাদেরকে লক্ষ্যবস্তু এবং মানহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ এরপরই দেশ জুড়ে আন্দোলন দেখা মেলে। যদিও কয়েক দিনের মধ্যই কয়েক জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ইন্টেলিজেন্স (IFSO) প্রশাসান মামলাগুলি তদন্ত করছে।

উল্লেখ্য, অবমাননাকর সুলি ডিলস মোবাইল অ্যাপটি ২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে মুসলিম মহিলাদের ছবি ও বেশ গোপনীয় তথ্য তাদের সম্মতি ছাড়াই অ্যাপে নিলামের জন্য রাখা রাখা হয়েছিল। বুলি বাই অ্যাপটি-তে দেশের বিশিষ্ট মুসলিম প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক, সমাজকর্মী, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব সহ বেশ কিছু নারীর ছবি নিয়ে তুলে ধরে।  

ছয় মাস পরে মুসলিম মহিলাদের হয়রানি ও টার্গেট করার আরেকটি অনুরূপ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। দিল্লির এক মহিলা সাংবাদিক দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে, তিনি একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে কিছু অজ্ঞাত গোষ্ঠীর দ্বারা লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। এইবার অ্যাপটির নাম দেয় বুলি বাই। 

‘বুলি বাই’ ও ‘সুল্লি ডিল’ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নীরজ বিষ্ণোই হিসাবে চিহ্নিত হয়।  সে বুল্লি বাই অ্যাপ তৈরি করেছিল এবং সুল্লি ডিল অ্যাপের স্রষ্টা অউমকারেশ্বর ঠাকুরকেও চলতি বছরের যথাক্রমে ৬ জানুয়ারী ও ৮ জানুয়ারী দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করে।

সুল্লি ডিল মামলায় দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট ৪ জুলাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪-এ (যৌন হয়রানি এবং যৌন হয়রানির শাস্তি) ধারার অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছিল। পরে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা চাপান হয়। ভারতীয় দণ্ড বিধি ১৫৩-এ ধারা  (ধর্ম, জাতি, জন্মস্থান, বাসস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ক্ষতিকর কাজ করা)। আইপিসির ৩৫৪-এ (৩) (যৌন হয়রানি এবং যৌন হয়রানির জন্য শাস্তি) সহ আইটি আইনের ৬৬, ৬৭  ধারার মামলা করা হয়।

প্রসঙ্গত, আসাম থেকে ডিসিপি কেপিএস-এর নেতৃত্বে অভিযুক্ত বিষ্ণোইকে আটক করে। বিষ্ণোইয়ের গ্রেপ্তারের মাত্র দুই দিন পরেই ২৫ বছর বয়সী অমকারেশ্বর ঠাকুরকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের এতদিন জেল হেফাজতে রাখা হয়েছিল। এখন তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করল দিল্লির স্থানীয় আদালত।

বিষ্ণোই আসামের জোড়হাট গ্রামের বাসিন্দা। সে একজন কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। বিষ্ণোই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে মুসলিম প্রতিষ্ঠিত ও প্রসিদ্ধ মহিলাদের সন্ধান করে তাদের ছবি ডাউনলোড করত। পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে ছড়িয়ে দিতে থাকে। এমনকি বিষ্ণোই নিজের পরিচয় গোপন রাখার জন্য ভিপিএন ব্যবহার করত, এমনটাই সূত্রে জানা গিয়েছে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর