“কেন আমাদের প্রতিবার সোনিয়া গান্ধীর সাথে দেখা করতে হবে?”:দিল্লীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

soniya

এনবিটিভি ডেস্কঃ  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারদিনের দিল্লী সফর এক নয়া রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লী সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ অনেক রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।ঠিক একদিন পূর্বে তাঁর হাত ধরে মঙ্গলবার অনেক প্রাক্তন কংগ্রেস দলের নেতৃত্ব যোগদানও করে তৃণমূল কংগ্রেসে । অপর দিকে সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন,তারা পাঞ্জাব নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।তাছাড়া, কেন আমরা প্রতিবার সোনিয়ার সাথে দেখা করব? এটা সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক নয়।

 

২০২৪ লোকসভা নির্বাচন,প্যান-ভারত রাজনৈতিক নেটওয়ার্ককে সতেজ করার বিষয়ে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস।প্রথমে ত্রিপুরা ও গোয়া নির্বাচন দিয়ে শুরু করলেও। মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্যান-ভারত রাজনৈতিক নেটওয়ার্ক তৈরির করার সূর দেখা মেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হরিয়ানাতেও তৃণমূলের পতাকা গাঁড়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,সোনিয়া গান্ধীর সাথে একটি ভাল সমীকরণ ভাগ করে নেওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন, তবে এটি পরবর্তী প্রজন্মের কাছে প্রসারিত হয়নি।মমতা বন্দ্যোপাধ্যা প্রতি বাংলার কংগ্রেস নেতাদের বিদ্বেষ দুই দলের মধ্যে আরও বিভেদ সৃষ্টি করেছে।তবে দিল্লীর সফরে কংগ্রেসের ভাঙ্গন মমতার নয়া সমীকরণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। আগামী দিনে তৃণমূল দেশের বৃহৎ বিরোধী দল হিসাবে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

 

সোনিয়া গান্ধীর কংগ্রেস দল দেশের বৃহৎ বিরোধী দল হিসাবে মনে করেন বর্তমান রাজনীতিবিদগন। তবে এর মাঝে তৃণমূলের দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে শক্তি সঞ্চয়ের পিছনে কি অন্য কোন শক্তি কাজ করেছেনাতো ? সেটাও আবার কংগ্রেসকে ভাঙ্গন ধরিয়ে। প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।  

 

চলতি বছর পার হলেই ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। যদিও তৃণমূলের কোন প্রকার রাজনৈতিক নেতৃত্ব পাঠাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।তারপরেও মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,যদি তৃণমূল ইউপিতে বিজেপিকে পরাজিত করতে সাহায্য করতে পারে, তাহলে আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।যদি অখিলেশ (সমাজবাদী প্রধান অখিলেশ যাদব) আমাদের সাহায্য চান আমরা দেব,আমরা গোয়া এবং হরিয়ানায় শুরু করেছি… তবে আমি মনে করি কিছু জায়গায়, আঞ্চলিক দলগুলিকে লড়াই করতে দিতে হবে। তারা যদি আমাদেরকে নিয়ে প্রচার করতে চায়, আমরা সাহায্য করব।

তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন যে,তিনি ডিসেম্বর কিছু ব্যবসায়িক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মুম্বাই যাবেন,যেখানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী উধব ঠাকরে এবং শরদ পাওয়ারের সাথে দেখা করবেন।তৃণমূল সুপ্রিমও আরও বলেন,তিনি বারাণসীতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন,যেহেতু কমলাপতি ত্রিপাঠির পরিবার এখন তৃণমূলের সাথে আছে।

রাজেশপতি ত্রিপাঠি এবং ললিতেশপতি ত্রিপাঠি প্রাক্তন ইউপি মুখ্যমন্ত্রী কমলাপতি ত্রিপাঠীর নাতি এবং প্রপৌত্র  অক্টোবরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলে তাঁরা ।  রাজেশপতি ত্রিপাঠি একজন প্রাক্তন এমএলসি এবং ললিতেশপতি ত্রিপাঠি প্রাক্তন ইউপি কংগ্রেস সহ-সভাপতি এবং প্রাক্তন বিধায়ক ।

 

গতকাল মঙ্গবার তৃণমূল সুপ্রিমর দল তিনটি তারকা রাজনৈতিক নেতা নিজের দলে যোগদান করিয়েছেন নিজেই। তাঁদের মধ্যে ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ব্যাটসম্যান কীর্তি আজাদ ছাড়াও, রাহুল গান্ধীর প্রাক্তন সহযোগী অশোক তানওয়ার, এবং জনতা দল রাজ্যসভার সাংসদ পবন ভার্মা। 

 

 

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর