এনবিটিভি: রণক্ষেত্র চিলি। পুলিশ হেড কোয়ার্টার লক্ষ্য করে বোমা। ভাঙচুর চার্চ, লুঠপাট দোকানেও। এদিনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেন্টিগোর সেন্ট্রাল স্কয়ার।
এদিন দিনের বেলা লোকেরা শহরের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং চিলির বিভিন্ন শহরে জমায়েত করে। পরে যা বিশাল আকার ধারণ করে।
2019 সালে শুরু হওয়া ওই বিক্ষোভের মূল দাবি, দেশের একনায়কতন্ত্র-শাসনতন্ত্রকে বাতিল করতে হবে কিনা সে বিষয়ে গণভোট করার। ১৮ অক্টোবর একটি “ইয়েস” ভোটের আহ্বান জানিয়ে রামধনু রঙিন হোমমেড পতাকা ওড়ান বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভগুলি প্রথমদিকে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও, দিনের পর দিন রাজধানী জুড়ে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, সুপারমার্কেট লুট করা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফায়ার ট্রাকে আগুন, রোডওয়েতে ব্যারিকেড জ্বালিয়ে এবং শহরতলিতে রাস্তায় আতশবাজি জ্বালান বিক্ষোভকারীরা। ফলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয় আশপাশ এলাকায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাস, জলকামান চালায় পুলিশ। মেট্রো ভাড়া আকাশছোঁয়া। শিক্ষা-স্বাস্থ্যে বরাদ্দ নেই, এই অভিযোগে গত বছর থেকেই উত্তপ্ত চিলি। এই অবস্থায় সরকার বিরোধিতায় সরব নাগরিকরা রবিবার রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হন। পুলিশ বাধা দিলে পরিস্থিতি চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ করে বোমা ছোঁড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয় পুলিশ।