সাইফুদ্দিন মল্লিক : কোভিড পরিস্থিততে সমগ্রদেশের পাশাপাশি আমাদের রাজ্যে রক্তের সংকট। পর্যাপ্ত রক্তের যোগানের অভাবে ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলি রক্ত শূন্য। থ্যালাসেমিয়া রুগী, বিভন্ন দুর্ঘটনা, অপারেশনে নিয়মিত রক্ত লাগেই। বর্তমানে কোভিড বা করোনা ব্লাড ক্যাম্প বন্ধ প্রায়। এমন অবস্থাতে AIMA সংগঠন বা সৈয়দ রুহুল আমিন সমগ্র রাজ্যে ১০০০ ব্লাড ক্যাম্প বা রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহন করেছেন। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে ১৮ অক্টোবর হাওড়া জেলার বাগনানের কল্যাণপুরে অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান শিবির।
কল্যাণপুর জুনিয়র বালিকা বিদ্যালয়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়। আইমার ডাকে সাড়া দিয়ে, কলকাতার “মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ব্লাড ব্যাঙ্ক” রক্ত সংগ্রহ করেন। ৪৫ জন আইমা প্রেমী রক্তদান করেন। প্রতিবন্ধী ভাই সুকুমার মন্ডল প্রথম রক্তদান করেন। হিন্দু মুসলিম ঐক্য ভাবে ব্লাড দিয়ে সম্প্রীতি তৈরি করেন। আমতার বিধায়ক অসিত বরণ মিত্রের উপস্থিতিতে রক্তদাতা শুরু হয়।
রক্তদাতা অনুষ্ঠানের কর্মসূচিতে আইমা সুপ্রিমো সকলের নয়নের-মনি ভাইজান সৈয়দ রুহুল আমিন উপস্থিতি ছিলেন। রক্তদান শিবিরকে সম্পূর্ন করতে উপস্থিত ছিলেন আইমার হাওড়া জেলার সম্পাদক কিরমানি কাজী, আইমার স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান চিকিৎসা তিমির বরণ, হাওড়া জেলার পর্যবেক্ষক সেখ আনিসুর, আইমার একনিষ্ঠ কর্মী এবংবিশিষ্ঠ সমাজসেবী এস মোল্লা। কল্যাণপুর ইউনিটের প্রধান হোসেল রানা এবং রকিবুল হোসেন, সেখ জুনিত আহমেদ, রেজাবুল করিম। রক্তদাতা শিবিরে উৎসাহ দিতে আসেন বাগানান ১-নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন দাস। আইমার রক্তদান শিবিরকে আলোকিত করতে হাজির হন ডা:স্বামী পরোমানন্দ।
রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি এদিন প্রতিবন্ধীদের সাইকেল গাড়ি উপহার দেওয়া হয়। ভাইজান রুহুল আমিন নিজে হাতে প্রতিবন্ধীদের সাইকেল গাড়ি উপহার দেন। বিধায়ক অশিত মিত্র বলেন, “আইমার রক্তদান অনুষ্ঠান, বর্তমান পরিস্থিতিতে মহৎ কাজ। স্বামী পরমানন্দ বলেন, “হিন্দু মুসলিম মিলন ও ঐক্যের প্রকৃত কাজ রক্তদান, রামের রক্ত যায় রহিমের শরীরে আর রহিমের রক্ত যায় রামের শরীরে”। সমিতির সভাপতি পঞ্চানন দাস বলেন, আইমার সংগঠনের রক্তদান শিবির এবং সামাজিক কাজ, দেশ ও জাতি গঠনের মূল অংশ।