জীবনের শেষ প্রান্তে চলে এসেছেন, এবার শিরদাঁড়া সোজা করুন, ফের ধনখড়কে তুলোধনা কল্যাণের

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

02c40017eb70

নিউজ ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী আগে থেকে মোদিকে অপমান করার পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন এই জন্যই তিনি মোদির বৈঠকে ৩০ মিনিট পরে গিয়েছিলেন। টুইট করে এই মন্তব্য করার পর সবার কাছে আবার হাসির খোরাক হলেন রাজ্য পাল। আর তা নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়ে যায় চাপানউতোর। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে তুলোধনা করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি। কল্যাণ ব্যানার্জির কথায়, ‘‌রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় কবে থেকে মানুষের মন পড়তে শিখলেন তা আমার জানা নেই। জগদীপ ধনখড় এখন থেকে সাইকোলজিস্টের কাজ শুরু করেছেন। আর ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সে কারণে ২৮ মে সবদিক থেকে ‘কালো দিন’।

 

 

 

তিনি আরো বলেন, কবে থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্য সরকারের অংশ হলেন যে প্রশাসনিক বৈঠকে আসবেন? কোথাও কোনওদিন এরকম হয়নি। ভারতবর্ষ এত বড় অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী কখনও দেখেনি, প্রতিদিনই তো এখন কালোদিন। জগদীপ ধনখড়ের নিজস্বতা নেই। উনি বিজেপির লোক হয়ে গিয়েছেন। জগদীপ ধনখড়কে এটাই বলতে চাই জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে শিড়দাঁড়া একটু সোজা করুন।’‌

 

 

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের টুইট প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‌রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে বলব টুইট বন্ধ করুন। আর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সেদিন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক বয়কট করেননি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত হিসাব তুলে দিয়ে এসেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে থাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আপত্তি করতেই পারেন। শুভেন্দু অধিকারী কোন সরকারি আধিকারিক নন। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর থাকার এক্তিয়ার নেই। নেট নাগরিকরাও ধনখড়কে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে মোদির বৈঠকে যাওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করার জন্য। নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী এবং ভবিষ্যতে বিরোধী দলের প্রধান মুখ হতে চলে মমতাকে অপমানের জন্য মোদি বিজেপির সঙ্গে মিলে শুভেন্দু অধিকারীকে বৈঠকে রাখার পরিকল্পনা কতেনবলে অভিযোগ অধিকাংশের।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর