নিউজ ডেস্ক : আরব সাগরের মাঝে অপূর্ব সুন্দর দ্বীপ লাক্ষাদ্বীপের সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক পরিচয় ধ্বংসের মিশনে নামে বিজেপির নিয়োগ করা প্রশাসক প্রফুল প্যাটেল। তার বিরুদ্ধে সেভ লাক্ষাদ্বীপ অভিযান সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলতেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল বিজেপির হাইকম্যান্ড। প্রফুল্ প্যাটেলকে ফিরিয়ে নেওয়া হতে পারে বলেও জান গিয়েছে বিজেপি সূত্রে পাওয়া খবরে। তাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কেরালা বিধানসভা সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির প্রশাসক প্রফুল খোড়া প্যাটেলের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলগুলি সরব হতেই বাধ্য হয়ে আসরে নামতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব পরিস্থিতি সামাল দিতে প্যাটেলকে ধীরে চলো নীতি নিতে বলেছে। মুসলিম অধ্যুষিত দ্বীপপুঞ্জে গোমাংসে নিষেধাজ্ঞা, গুন্ডাদমন আইন এবং জমি অধিগ্রহণ নীতি নিয়ে আরও সময় নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবারই এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির প্রতিনিধি দলকে সাফ জানিয়েছেন, দ্বীপপুঞ্জের সাধারন মানুষের ইচ্ছা ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। মানুষ যেটার পক্ষে সায় দেবে সেটাই বাস্তবায়িত হবে। লাক্ষাদ্বীপে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এ পি আবদুল্লাকুট্টি জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলি এখনও চিন্তাভাবনার স্তরেই আছে। তার বাস্তবায়নের আগে দ্বীপপুঞ্জের মানুষের মতামত নেওয়া হবে। তবে এই সব ব্যাপারে বিজেপি আপাতত ধীরে চলো নীতি নেওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন দ্বীপপুঞ্জের মুসলিমরা।
অন্যদিকে, লাক্ষাদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জলও সোমবার শাহের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেছেন, তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে কেন্দ্র কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না লাক্ষাদ্বীপের মানুষের জনপ্রতিনিধি, পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের না জানিয়ে। প্যাটেলের অপসারণের দাবি নিয়ে কেন্দ্র পরে সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানিয়েছেন।