প্রশান্তের হাত ধরে কংগ্রেসের পথে কানহাইয়া, জোর জল্পনা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

Kanhaiya-Prashant

 

 

কংগ্রেসে যোগদান করতে চলেছেন কানহাইয়া কুমার। জানা গিয়েছে কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে তার। আরও খবর পাওয়া গিয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে কানহাইয়া কুমারের যোগসাজশের নেপথ্যে রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। খবর প্রকাশের আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সহায়তা করেছিলেন ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর ও তার সংস্থা আইপ্যাক।

জাতীয় রাজধানী দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা ছিলেন কানহাইয়া কুমার। বিজেপি বিরোধী কর্মসূচিতে বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে আসেন ২০১৬ সালের শুরুর দিকে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময় থেকেই ভারতের রাজনীতিতে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল সিপিআই(CPI)-এর হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন।সেই ব্যক্তিই যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেসে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সাহায্য করা ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন রাহুল-সোনিয়া। কোন পদে প্রশান্ত কিশোরকে বসানো হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। এরই মাঝে প্রশান্তের হাত ধরে হাত শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন কানহাইয়া।

মঙ্গলবার প্রশান্ত কিশোর রাহুল গান্ধীর বাসভবনে যান। সেখানে তিনি দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যের সঙ্গে। সূত্রের খবর এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোরের।একটি সূত্র বলছে সামনেই উত্তর প্রদেশ পঞ্জাবের মত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনেই কংগ্রেসের রণকৌশল নিয়ে কথা বলতেই প্রশান্ত কিশোরের গান্ধীভবন যাত্রা। যদিও অন্য একটি সূত্রের খবর প্রশান্ত কিশোর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারকে রাষ্ট্রপতি করার উদ্যোগ নিয়েছে। সেই কারণেই তিনি গান্ধীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।

 

সূত্রের খবর শুধু গান্ধী পরিবার বা কংগ্রেসের সঙ্গে নয়। প্রশান্ত কিশোর যোগাযোগ করেছেন একাধিক আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গেও। নবীন পট্টনায়ক, এমকে স্ট্যালিনের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। তামিল মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজোপি বিরোধী অবস্থান স্পষ্ট। কিন্তু নবীন পট্টনায়কের অবস্থা এখনও পর্যন্ত অস্পষ্ট। আর সেক্ষেত্রে মোদী বিরোধী অ-বিজেপি দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর।

প্রশান্ত কিশোর আগাম গণনা অনুযায়ী বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে তা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোর মোদী বিরোধী দলগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল জয়ের পরই তাঁর জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা গেছে। অনেক রাজনীতিবিদদের মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক করে তুলতেই তাঁর এই উদ্যোগ। তবে সবই এখনও পর্যন্ত জল্পনা। নিজে থাকে কিছুই জানাননি প্রশান্ত কিশোর।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর