এনবিটিভি ডেস্কঃ দেশ ও দুনিয়া পরিবর্তন হলেও বদলায়নি জাতি ভেদের মানুষিকতা। এবার বান্ধবী দলিত হওয়াতে পুড়িয়ে হত্যা করল উঁচু বর্ণের যুবক। এমনি ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। নিহতের নাম দানেশ্বরী (২৩)। অভিযুক্ত শিবকুমার চন্দ্রশেখরের সাথে একই কলেজে পড়াশোনা করত, তৈরি হয় দুজনের মধ্যে এক সম্পর্ক। পরে দানেশ্বরী বিবাহ করার কথা বললে চন্দ্রশেখর তা মানতে অস্বীকার করে। এমনকি বান্ধবী দানেশ্বরীকে গায়ে পেট্রোল দিয়ে হত্যা করতে দ্বিধা বোধ করেনি।
নির্যাতিতা দানেশ্বরীর বোন পুলিশকে জানায় যে, “দানেশ্বরীর সঙ্গে শিবকুমার বেঙ্গালুরুর বিজয়পুরা জেলার একই কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি হয়েছিল। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক শুরু হয়। দীর্ঘদিন পর ভালভাবে তাদের পড়াশোনা শেষও করে। পরে তারা বেঙ্গালুরুতে চলে যায় এদিকে তাদের সম্পর্ক চলছিল। শিবকুমার দানেশ্বরীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল।
দানেশ্বরী বিয়ের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে অভিযুক্ত তার বাবা-মায়ের সম্মতি নেওয়ার কথা বলে। পরে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে এসে নিচ বর্ণের হওয়াতে বিয়ে করতে অস্বীকার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শিবকুমার পরে বান্ধবীকে একটি নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে এবং আগুজন লাগিয়ে দেয়। দানেশ্বরীকে অগ্নি দগ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সে পালিয়ে যায়। গত ১৫ মার্চ দানেশ্বরী হাসপাতালে মৃত্যু বরন করে।
পরিবার পুলিশের দারস্ত হলে প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা প্রতিরোধ আইন এবং আইপিসি ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করেছে।
ভারতে একদিকে যেমন সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে অন্যদিকে একই অবস্থা কথিত নিচু বর্ণের মানুষেরও। সমাজে বাঁচার যেন অধিকার টুকুও নাই তাদের। দেশে গত কয়েক বছরেই ব্রাহ্মবাদের ঘেরা টপে বলি হয়েছে হাজারও সংখ্যালঘু, আধিবাসী, দলিত নিষ্পাপ মানুষ। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।