লেবাননে রক্তক্ষয়ী সহিংসতার ঘটনায় নাজিব মিকাতির ক্ষমাপ্রার্থনা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

1634269232_AD-2

 

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভে গুলিতে ছয় জন নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। নিহতদের স্মরণে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) শোক দিবস পালনেরও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি।

 

দেশটির স্থানীয় আননাহার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছে যে, বৈরুতের নিরাপত্তার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) কালো পোশাকে শত শত হিজবুল্লাহর সমর্থক বৈরুত জাস্টিস প্যালেসে সমবেত হন। লেবাননের রাজনৈতিক দল আমাল মুভমেন্টের সদস্যরাও বিক্ষোভে অংশ নেন বিক্ষোভে। বিক্ষোভ চলাকালীন এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ছয় জন। আহত হন আরও অন্তত ৩০ জন।

 

বৃহস্পতিবারের সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয়ভাবে শোক দিবস পালনেরও ঘোষণা দিয়েছেন লেবানিজ প্রধানমন্ত্রী। দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সতর্ক করেছেন লেবাননকে সহিংসতার দিকে টেনে নেওয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে।

উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সেনাসদস্যরা। তাদেরকে ট্যাংক নিয়ে রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। এ সময় হিজবুল্লাহ ও আমাল মুভমেন্টের সশস্ত্র সদস্যরাও প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালায়। রাজধানীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। উদ্ভূত পরিস্তিতিতে দেশে শান্তি বজায় রাখতে সবার সহায়তা চেয়েছে সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাত বলেন, ‘শহরের শান্তি ফেরাতে সেনাবাহিনী মাঠে থেকে মনিটরিং করছে। হামলাকারীদের আটকের পাশাপাশি বিচারের মুখোমুখি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
গত বছরের বৈরুতের বন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত থেকে একজন বিচারককে অপসারণের দাবিতে ওই বিক্ষোভে নামে আন্দোলনকারীরা। তারেক বিতার নামের ওই বিচারককে যুক্তরাষ্ট্রের দাস হিসেবে অ্যাখায়িত করেন বিক্ষুব্ধরা।

সূত্র : ডেইলি ইনকিলাব

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর