এনবিটিভি,নদীয়া: গাড়ি পিছু দিতে হবে ২০০টাকা, থাকতে হবে মান্থলি। তবেই মিলবে থানার ছাড়পত্র। অনায়াসে নিয়ম ভেঙে নিয়ে যেতে পারবেন ওভারলোড বালি পাথর বোঝাই করা লরি। এবার সেই টাকা তুলতে এসে বিক্ষোভের মুখে শান্তিপুর থানার পুলিশ। বেগতিক বুঝে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেল পুলিশ।
প্রসঙ্গত, নদীয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগআঁচড়া ভালুকা রোডের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পথের বেহাল দশা ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তবে নদীয়া জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই রাস্তা সংস্কার করা হয়েছিল। এলাকাবাসীদের দাবী দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তা দিয়ে ওভারলোড বালির গাড়ি নিয়মিত চলাচল করে পুলিশের উপস্থিতিতেই।
মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় ইমারতি দ্রব্য বিক্রেতা রাধেশ্যাম ঘোষের বালি খালি করার সময় পুলিশ এসে ২০০ টাকা চায়। তা দিতে অস্বীকার করলে কর্তব্যরত শান্তিপুর থানার পুলিশ কাগজপত্র কেরে নিয়ে লরি চালকে মারধর করে। এই ঘটনায় এলাকার এবং পথচলতি সাধারণ মানুষ পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে ঐ স্থান পরিত্যাগ করে পুলিশের গাড়িটি।
এ বিষয়ে গাড়ির চালক হাবিব শেখ জানান, নিয়ম অনুযায়ী আন্ডারলোড ২৪০ সিএফটি বালি পরিবহন করার কারণে থানার মান্থলি করার প্রয়োজন বোধ করেনি। কিন্তু কোন অন্যায়ে আজ আমাকে মারধোর করা হল? কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হল?
স্থানীয় বাসিন্দাদের মিলন ঘোষ জানান, “মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত গ্রাম শহরে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছেন, অথচ পুলিশের এ ধরনের ভূমিকায় বদনাম হচ্ছে শহরের। প্রতিদিন সকালে আট-দশটা ওভারলোড বালির গাড়ি স্থানীয় বাগদেবী তলা ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ায় তা যথেষ্ট বিপদজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। যার ফলে রাস্তা এবং পাশাপাশি দোকান বাড়িঘর সমস্ত কেঁপে যায়।
শুধুমাত্র স্থানীয় থানার মান্থলি করার কারণে তাদের উপস্থিতিতেই চলছে রমরমা ওভারলোড বালির গাড়ি যাতায়াত।”
এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান মমতা ধারা জানান, “প্রশাসনিক বিষয় বলেই পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপ করা হয়নি। তবে শান্তিপুর থানার এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।