সাইফুল্লা লস্কর:দিনভর নাটক শেষেও বিজেপির মিছিলে এলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়। যে মিছিল কে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এর ‘গ্র্যান্ড লঞ্চ’ হিসেবে ধরা হচ্ছিল নিজেদের মান অভিমান দেখাতে গিয়ে তা তারা নিজেরাই ভেস্তে দেন। এর প্রভাব শোভন ও বৈশাখের উপর কতটা পড়বে তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও এটা স্পষ্ট যে নির্বাচনের আগে এই মিছিল বিজেপির বিড়ম্বনা বাড়ালো।
ভোটের অবস্থা খতিয়ে দেখতে সপ্তাহ দুয়েক আগে বঙ্গ সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। স্বার্থের ঊর্ধ্বে দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ার বার্তা দিয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে খিদিরপুরের পূর্বনির্ধারিত বিজেপির এই মিছিলে ঠিক তার উল্টো ছবি ধরা পড়ল।
শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনসমর্থন গড়ে তুলতে সোমবার বিজেপির কর্মীরা রাস্তায় নামলেও আসলে মূল উদ্দেশ্য ছিল গেরুয়া শিবিরে শোভন ও বৈশাখী কে প্রতিষ্ঠা করা। দেড় বছর আগে দলে যোগদান করলেও বিজেপির কোনো কর্মসূচিতে তাদেরকে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা যায়নি। কলকাতা জোন এ শোভনকে পর্যবেক্ষক ও বৈশাখীকে সহ-আহ্বায়ক হিসেবে নিযুক্ত করে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে চেয়েছিল বিজেপি। এরপর তাদের দুজনকে নিয়ে আর কোনোরকম প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হবে না বলে আশা করা হচ্ছিল।
কিন্তু এই মিছিল নিয়ে প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন রবিবার রাতে মিছিলে অংশ নেবে না বলে বেঁকে বসেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুবনেশ্বর থেকে ফিরে এমনই সিদ্ধান্ত নেন বৈশাখী।
তার প্রশ্ন হল,কলকাতা জোন-এ তার পাশাপাশি শঙ্কুদেব পান্ডা কে কেন সহ-আহ্বায়কয়ের পদ দেয়া হবে। রাকেশ সিংহ, দেবজিৎ সরকাররা পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার রাত্রেই ছুটে যান গোলপার্কের বাড়িতে। যেখানে হাজির হন শঙ্কুদেব নিজেও।
তবে বৈশাখী স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে শঙ্কুদেব থাকলে তিনি মিছিলে যোগদান করবেন না। এদিকে বৈশাখী বেঁকে বসায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মিছিলে অংশ নেওয়া নিয়ে ও ঘোর অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।