প্রত্যাশা মতোই বাদ মুকুল, শুভেন্দুই হলেন বিরোধী দলনেতা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

20210507058L_1620383345288_1620383358460

নিউজ ডেস্ক : বিভিন্ন দাবি পাল্টা দাবি, তর্ক বিতর্কের পর বিজেপি নির্বাচন করল তাদের দলনেটাকে। শুভেন্দু অধিকারীকেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত করল গেরুয়া শিবির। বিরোধী দলনেতা বাছতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবকে দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি। সোমবার হেস্টিংসে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকের পরে রবিশঙ্কর জানান, বিধানসভায় দলের নেতা এবং বিরোধী দলনেতা হিসেবে নব নির্বাচিত বিধায়কদের নাম প্রস্তাব করার কথা বলা হয়েছিল। বিজেপির সূত্রে বলা হচ্ছে, দলের বিধায়ক তথা বিজেপি–র সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায় শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রস্তাব করেন। ওই নামে আরও ২২ জন বিধায়ক সমর্থন করেন। বাকি বিধায়করা কোনও নাম প্রস্তাব করেননি। তাই শুভেন্দুকেই দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হল।

কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের নামও আলোচনায় ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি না বলে দিয়েছিলেন বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে জানানো হয়েছে।

 

আবার রাজ্য বিজেপির পুরনো নেতৃত্বের একটা বড় অংশই চাইছিল আরএসএস ঘনিষ্ট মনোজ টিগ্গাকে বিরোধী দলনেতা করা হোক। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এবারও জয়ী হয়েছেন। এর আগে পরিষদীয় দলের নেতাও তিনি ছিলেন। মনোজ টিগ্গা সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ এবং দলের পুরনো কর্মী। যদিও অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীই সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন এবং রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণের দিকে তাকালে বোঝা যায় রাজ্য বিজেপিতে শুভেন্দুকে পছন্দ করেন বেশিরভাগ বিজেপি নেতা। তাই শেষমেশ তাঁকেই নির্বাচিত করা হয়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, সবার মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার পর থেকেই বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর পাল্লাই ভারী ছিল। মুকুল রায়ের নাম প্রথমে থাকলেও মুকুলবাবুর শরীর ভাল নেই। বিরোধী দলনেতা হলে সারা রাজ্যজুড়েই ছুটে বেড়াতে হবে। মুকুল রায়ের পক্ষে সেই ছোটাছুটি সম্ভব নয়। তবে শরীর খারাপের কথা বলা হলেও এখনো প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ব্যাপারে। প্রথমে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না চাইলেও দলের চাপে স্বীকৃতি জানান। আবার জয়ের পর প্রাথমিক পর্বে বিজেপির ধর্না এবং পরিষদীয় বৈঠকে হাজিরা না দেওয়া থেকে সাংবাদিকদের বলা “সব কথা পরে বলব, কখনো মানুষকে ইচ্ছা করে চুপ থাকতে হয়” এমন মন্তব্য মুকুল রায়ের ব্যাপারে অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি করে। সত্যিই বিজেপি শিবির মুকুল রায়ের বিষয়টি সামলে নিয়েছে কতটা এটা শুধু সময়ই বলতে পারবে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর