~হাফিজুর রহমান, সহযোগী সম্পাদক, এনবিটিভি
আজ নিউইয়র্ক টাইমস এর প্রথম পাতার লিড, নিউজদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার সুনাম আর শিক্ষা মন্ত্রী মণীশ শিশোlদিয়ার ঢালাও প্রশংসা।
অপমানিত হয়েছিল জগাই মাধাই, এত বড়ো সাহস কোথাকার কে মণীশ আমাদের বাদ দিয়ে প্রচারের আলো মাখবে? ঘন্টাখানেকের মধ্যেই সিবিআই রেড। কাকতালীয় নয় হিংসায় আচ্ছন্ন জগাই মাধাই এই কান্ড ঘটিয়ে দিয়েছে। ভাবটা এমন সিবিআই লেলিয়ে দিলাম দেখ কেমন লাগে। জগাই মাধাই হলো দুই গুজরাটি। একজন জুমলার জন্য বিখ্যাত অন্যজন তড়িপার।
এদের লোকে ঠাট্টা করে হাম দো বলে। আর হামারা দোর পরিচয় হল দেশের সব চেয়ে বড় বেওসায়ী হাম্বানি আর পাদানি।
এই হাম দো হামারা দো দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। কোনো কিছুর পরোয়া না করে নির্বাচিত সরকার ভেঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে চায় এরা। নিয়ম কানুন এর পরোয়া না করে টাকা দিয়ে ঘোড়া কেনা বেচা করে কর্ণাটক মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের দখলের পর পাখির চোখ করেছিল বাংলা বিহার আর ঝাড়খণ্ড। পোষা সরকারি এজেন্সির অপব্যবহার করে ব্যাক ডোর দিয়ে ক্ষমতা দখল। উদ্দেশ্য ছিল বাংলায় ইডি দিয়ে তছনছ।যখন ুওসুধেকাজ হচ্ছিল তখনই ছন্দপতন। ্
ঝড়খন্ড দখলের ঘোড়া কেনার টাকা শুদ্ধ তিন কংগ্রেস এমএলএ গ্রেপ্তার হয় বাংলায়। খেলা ঘুরেযায়, অন্যদিকে বিহারে নীতিশ সরকার ফেলে দেওয়ার আগেই নীতিশ এনডিএ ছেড়ে আরজেডি আর কংগ্রেসের হাত ধরেন। এর পর বিহার আপাতত অধরা।
গণতন্ত্রে বিরোধিতা আছে কিন্তু ফ্যাসিস্ট দলটি সেটি মানে না। বাইরে তো বটেই নিজেদের দলের মধ্যে বিরোধী স্বর উঠতে দেয়না এই প্রতিক্রিয়াশীল জুটি। বিজেপির সব থেকে কাজের মানুষ নীতিন গডকরি দলের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন।মেনে নিতে পারেনি জগাই মাধাই ।
প্রথমে একাধিক দপ্তর কেড়ে নেওয়া হলো তারপর নীতি নির্ধারণ কমিটি থেকে ছেটে ফেলা হলো নিতিন কে ডানা কাটা হলো বুল্ডজার বাবা যোগী আদিত্যনাথ এর। মামা শিবরাজ পাতিলকেও বাইরের রাস্তা দেখানো হলো। জগাই মাধাইকে চ্যালেঞ্জ জানাবার কেউ থাকলো না।খুশির খবর ভেবে লাভ নাইকিসসা,
অংক এত সোজা নয়। বিহারে নীতিশ বিজেপির চক্রান্তের রথ থামিয়ে দিয়েছে। বিরোধী শিবির উজ্জীবিত। এখন যদি ইগো বাদ দিয়ে সবাই যদি এককাট্টা হয় তাহলে এই প্রতিক্রিয়াশিল
ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করা যাবে, না হলে কপালে দুঃখ আছে।
