বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG-20210122-WA0007

নিউজ ডেস্ক : বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি দলের মধ্যেই বিক্ষুব্ধ। সম্প্রতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রিসভা ও দল থেকে পদত্যাগ করতেই বালির তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়ার ‘প্রতিবাদ’ আরও জোরাল হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও তিনি রেয়াত করছিলেন না বলে অভিযোগ উঠছিল। শুক্রবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতেই প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে আরও ক্ষোভ ব্যক্ত করেন বৈশালী। আর তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল তৃণমূল। শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেছিল তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে বৈশালীকে। যদিও শাসক দলের এই সিদ্ধান্তের পর একটি বৈদ্যুতিন চ্য়ানেলে বৈশালী জানান, ‘আমি খুশি হলাম।’

যদিও দলের বিরুদ্ধে বারবার মুখে খোলাই শুধু নয়, তাঁর সঙ্গে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ উঠছিল বারেবারে। গত বুধবার দক্ষিণ কলকাতায় একটি জন্মদিনের পার্টিতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একই অনুষ্ঠানে ছিলেন বৈশালীও। ফলে গুঞ্জন বাড়ছিলই। শুক্রবারও বনমন্ত্রীর পদ থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফা দিতেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা। বলেন, ‘ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগই প্রমাণ করে দিল, তৃণমূল কংগ্রেসে এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দক্ষ প্রশাসক মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেন, সেটা সকলের জন্যই অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার। আমি মর্মাহত। লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরেই বলেছিলাম, দলে অনেক উইপোকা আছে। সেই উইপোকাদের বিরুদ্ধে আমি আগেই মুখ খুলেছি। কেউ কাজ করতে দেয় না এরা। মানুষের জন্য কোনও কাজ করতে দেওয়া হয় না। হাওড়া জেলাটা কিছু মানুষের জন্য নষ্ট হয়ে গেল। মুখ্যমন্ত্রী এত খেটেছিলেন হাওড়ার পিছনে, একে একে সবাই চলে গেল। যারা ভদ্রলোক রয়েছেন, তাঁরা সকলেই চলে যাবেন।’

অর্থাৎ, সকালেই নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করে বৈশালী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন দলে তিনি আর থাকবেন না। কিন্তু তৃণমূল শেষ পর্যন্ত তাঁকে পদত্যাগের সুযোগ না দিয়ে বহিষ্কারের পথেই হাঁটল। একইসঙ্গে এদিন তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। ছেঁটে ফেলা হবে দল থেকে। বৈশালীকে দিয়েই সেই প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্যের শাসক দল। অনেকেরই মত, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী বা আরও বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধেও একই পথে হাঁটতে পারে তৃণমূল।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর