মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জাপানের “টুইটার কিলার” মৃত্যুর আগে চায় বিয়ে করতে! জানুন তার বিভীষিকাময় জীবন সম্পর্কে

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

b1cdc3d4-410a-11eb-be63-b2d34bb06b66_image_hires_225148

সাইফুল্লা লস্কর : টুইটারে করা কোনো পোস্টের জন্য নির্মম মৃত্যু হতে পারে কারোর! যদি সেই পোস্ট টি জীবনের ওপর করো বিতৃষ্ণার ব্যাপারে করা হয়। আর এমন মৃত্যুর দূত হল জাপানের “টুইটার কিলার”। তার নাম তাকা হিকো শিরাইশি। বয়স ৩০ বছর। টুইটারে জীবনের ওপর বিতৃষ্ণা সূচক পোস্ট করার জন্য ৯ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে তাদের শরীরকে খণ্ডিত করে নিজের ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল এই সিরিয়াল কিলার। তাদের মধ্যে ৮ জন ছিল ২০ বছরের যুবতী। টুইটারে তাদেরকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের ধর্ষণ করে হত্যা করে শিরাইশী। পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার ও করে তার এই জঘন্য কর্মকাণ্ড। টোকিওর একটি আদালতে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল ও করবে না কোথাও কিন্তু মৃত্যুর আগে সে কোনো সাধারণ মহিলার সঙ্গে বিয়ে করতে চান বলে জানিয়েছে।

“টুইটার কিলার” , “হ্যাংম্যান” প্রভৃতি নামে পরিচিত এই সিরিয়াল কিলারের জন্ম হয় ১৯৯০ সালের অক্টোবর মাসে। অতীত সময়ে যৌন ব্যাবসা এবং দালালির সঙ্গে যুক্ত থাকা এই ব্যক্তি টুইটারে চোখ রাখত সেই সব মহিলার ওপর যারা জীবনের ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপর তাদেরকে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের ধর্ষণ করে নির্মম হত্যা করে নিজের বাড়িতেই রেখে দিত তাদের লাশের বহুখন্ডিত টুকরো। জাপানের জামা শহরে তার প্রতিবেশীরা তাকে খুব সামাজিক এবং মিশুকে মানুষ হিসেবে জানলেও তার বাড়ি থেকে উদ্ভট গন্ধ আসার কথা স্বীকার করেছে।

এই সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করতে সাহায্য করেছে এক যুবক যার বোনকে হত্যা করেছিল শীরাইশি। ২০১৭ সালে গ্রেফতার হওয়া এই কিলার আদালতে জানিয়েছে তার জীবনের কোনো মূল্য তার কাছে নেই। তাই সে এই সব কর্মকাণ্ড করেছে। ১৫ ডিসেম্বর তাকে মৃত্যুদণ্ড দিল এক জাপানি আদালত। উল্লেখ্য জাপানে একাকীত্বের সমস্যা সমাজ জীবনের এক বৃহৎ সমস্যা। এই জন্য জাপানে আত্মহত্যার প্রবণতা পৃথিবীর সব থেকে বেশি। বহু মানুষ একাকীত্ব কাটানোর জন্য ভাড়া করে নিজের প্রয়োজনীয় মানুষকে। আর এই একাকিত্বকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত এই সমস্যা কাজে লাগিয়ে নিজের জঘন্য প্রবৃত্তিকে চরিতার্থ করত এই টুইটার কিলার। আর তার শেষ ইছাতেও সেই একাকীত্বের যন্ত্রণাই ফুটে ওঠে। সে জীবনের শেষ লগ্নে একাকীত্ব নামক ব্যাধিকে দুর করে যেতে চায়।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর