ইরানের ওপর থেকে ১০০০ এর বেশি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে রাজি হল আমেরিকা

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

FB_IMG_1624711425675

নিউজ ডেস্ক : ইরানের ওপর পূর্ববর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত এক হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার ইরানের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির প্রধান কর্মকর্তা মাহমুদ ভায়েজি এ তথ্য জানান।

 

সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ২০১৫ সালে পাঁচ বিশ্ব শক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত তেহরানের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্মত হয় বলে জানা গিয়েছে।

 

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ইরানের ওপর থেকে প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাসহ তেল এবং জাহাজ চলাচলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্টের প্রধান কর্মকর্তা মাহমুদ ভায়েজি বলেন, সব ধরনের তেল এবং জাহাজ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত সম্বলিত একটি চুক্তি হয়েছে।

এছাড়া ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অভ্যন্তরীণ পরিষদের কিছু ব্যক্তি ও সদস্যের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার হবে।

 

২০১৫ সালে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী জন কেরি এবং ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফের মধ্যে বহু আলোচনার পর আমেরিকার বারাক ওবামা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে রাজি হয় ইরান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে।

 

তবে গত জানুয়ারিতে জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ইরানের ২০১১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফেরার ইঙ্গিত দেন। এরপর গত এপ্রিলে পারমাণবিক চুক্তি বাঁচাতে ইরানে একটি প্রতিনিধি দল চুক্তিতে সাক্ষরকারী চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া এবং যুক্তরাজ্য আলোচনায় অংশ নেয়। এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা পরোক্ষভাবে অংশ নেন এবং ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্মতি জাহির করেন। তবে এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা করেনি ওয়াশিংটন। তবে যদি সত্যিকার অর্থে আমেরিকা এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে এটাকে ইরানের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির তরফ থেকে ইরানীদের জন্য উত্তম বিদায়ী উপহার হিসেবে দেখছেন অনেকে। অন্যদিকে ইরানের হবু প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসির জন্যও বিদেশ নীতি পরিচালনা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ হবে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর