নিউজ ডেস্ক : অতিরিক্ত সামরিক খরচের ধাক্কা আর সইতে পারছে না দুর্দশাগ্রস্ত মার্কিন অর্থনীতি। অন্যদিকে পরিবর্তন হচ্ছে বিশ্বের ভূরাজনৈতিক সমীকরণ। তাই আফগানিস্থানের পর এবার ইরাক থেকে ও পাততাড়ি গুটিয়ে নিচ্ছে বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা। এরপর ইরাকে শুধুমাত্র ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণের জন্যই মোতায়ন থাকবে কিছু মার্কিন সেনা। জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন।
এ বিষয়ে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমির মধ্যে চুক্তিও হয়ে গেছে। খবর রয়টার্সের। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের মধ্যে কৌশলগত আলোচনার অংশ হিসেবে সোমবার ওভাল অফিসে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন বাইডেন ও কাদিমি।
বৈঠকের পর বাইডেন বলেন, ‘ইরাকে আমাদের সহায়তা, প্রশিক্ষণ, আইএসকে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। তবে এ বছরের শেষ নাগাদ সেখানকার যুদ্ধে আমরা আর থাকছি না।’
বর্তমানে ইরাকে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে, যারা মূলত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযানেই ব্যস্ত। সেই ভূমিকা থেকে সরে এসে শুধু ইরাকি বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের সুরক্ষা বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ায় মনোযোগী হবে যুক্তরাষ্ট্র।
জর্জ ডব্লিউ বুশ ইরাকের যুদ্ধ শুরু করেন। তবে বাইডেন বিদেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করার ব্যাপারে প্রথম থেকে উদ্যোগী ছিলেন। এই বছরে আগস্টের মধ্যে আফগানিস্থান থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করার কথা। বর্তমানে চীনকে সব থেকে বড়ো হুমকি হিসেবে দেখছে বাইডেন প্রশাসন। এই জন্য মধ্য প্রাচ্য থেকে মার্কিন নীতির কেন্দ্রে থাকতে চলেছে ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল।
ইরাকের তৎকালীন নেতা সাদ্দাম হোসেনের সরকার ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলেছে, এমন অভিযোগ তুলে ২০০৩ সালে দেশটিতে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী। এরপর সাদ্দামকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হলেও সেসব অস্ত্রের হদিস আজ পর্যন্ত মেলেনি।