ঝিকরগাছার দেওলী গ্রামে নবমুসলিম গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ ৷

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

received_276934263529800

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দেউলী পাড়ুই পাড়ায় স্বামীর সহযোগিতায় নব মুসলিম স্ত্রীকে দেউলী গ্রামের মৃত মুনসুর আলী কারিগরের ছেলে আব্দুল মজিদ ওরফে খোকন ( ৬৫)এর নামে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে ভিকটিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ৪ বছর আগে তাকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করিয়ে মুসলিম ধর্ম অনুসারে তাঁকে বিবাহ করেন দেউলী পাড়ুই পাড়ার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে আরিজুল ইসলাম(৫৫) ।

কিন্তু বর্তমানে ভিকটিমকে নিয়ে সংসার করবে না বলে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা শুরু করেছেন আরিজুল ইসলাম।

ভিকটিম আরো বলেন, দেউলীর আব্দুল মজিদ ওরফে খোকন (৬৫) তাকে দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছে। এ বিষয়ে তার স্বামী আরিজুল ইসলামকে জানালে স্বামী তাকে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং তাকে ওই কাজে লিপ্ত হওয়ার আদেশ প্রদান করেন।

ভিকটিম আরও বলেন, দেউলী দক্ষিণ পাড়ার আবু তাহের আলীর ছেলে সানারুল ইসলাম (৪০) এবং মনিরুল ইসলাম (৪২) উভয়েই আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি সহ ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাদের কথায় রাজি না হলে আমাকে আরিজুল এর সংসার ছাড়া করবে বলেও হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকটিমের মা অশ্বয়ারা রানী বলেন, আমার মেয়ে হিন্দু ধর্মের ছিল এবং তার স্বামী সন্তান ছিল। কিন্তু আরিজুল আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে ফাঁসলিয়ে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করেন এবং সে আমার মেয়েকে মুসলিম ধর্ম অনুসারে বিয়ে করে। কিন্তু বর্তমানে আমার মেয়েকে আরিজুল ছেড়ে দেবার জন্য বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করেছে ।এমনকি অন‍্য পুরুষ দিয়ে আমার মেয়েকে লাঞ্চিত করতে বাধ্য করছে।

এ বিষয়ে প্রতিবেশী সাবদার হোসেন বলেন, মেয়েটা হিন্দু থেকে মুসলমান হয়ে চার বছর আরিজুল এর সাথে ঘর সংসার করেছে । কিন্তু দেউলী গ্রামের আব্দুল মজিদ ওরফে খোকন সহ তার কিছু চ‍্যালাবেলা তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। এর আগেও খোকন ভিকটিমের সতীনের ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রামে বিচার সালিশ হয়েছিল বলে জানান তিনি।

এখন এলাকাবাসীর দাবি, ধর্ষক খোকন ও তার সহযোগী সাহারুল এবং মনিরুলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দেওয়া হোক। সাথে সাথে অসহায় ভিকটিমের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা ভিকটিমের অভিযোগ এবং স্বীকারোক্তি গ্রহণ করেছি। তবে দ্রুত ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। পাশাপাশি ভিকটিমকে যদি কেউ হুমকি ধামকি দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি৷

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর