দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ঘাটতির বাজেটে যেভাবে হবে অর্থের যোগান।।

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

PicsArt_06-08-12.21.55

এস এম ফাহাদ হোসাইন;;

করোনা ক্রান্তিলগ্নে সারা পৃথিবীর ন্যায় থমকে আছে বাংলাদেশ ও ।

এর মধ্যেই আগামী ১১ জুন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

যেখানে দেশের অতীতের বাজেট গুলোতে থাকতো সরকারী বেসরকারি বিশাল ঋণের বোঝা সেখানে অর্থনীতির এই দুঃসময়ে বাজেট ঘোষণাই যেন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।

করোনার দুঃসময়ের আগে থেকেই সরকারের আয়ের পরিমাণ ছিল কম। সেই সঙ্গে বেড়েছিল ব্যয়। করোনাকালীন এই দুঃসময়ে আয়ের মূল উৎস রাজস্ব আদায় তলানিতে ঠেকলেও বেড়েছে ব্যয়ের খাতও।

সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এবার বাজেটে ঘোষণা হচ্ছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার।

এই বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাকী অর্থের যোগান আসবে করবহির্ভূত অন্যান্য আয়ের থেকে।

আসন্ন এই বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।

আয় ও ব্যয়ের এ বিশাল ফারাকে এবারই প্রথম দেশের ইতিহাসে মোট বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হচ্ছে।

এদিকে বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) যে তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হচ্ছে তা অর্জন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া চিঠিতে তিনি জানান ‘বিভিন্ন সূচক বিবেচনায় নিয়ে গবেষণা ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে জানা যায় যে, চলতি অর্থবছরের শেষে সর্বমোট দুই লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব অহরিত হতে পারে।’

এবারের বাজেটে সরকার মোট পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও সংশোধিত করে সেটি কমিয়ে পাঁচ লাখ এক হাজার ৫৭৭ কোটি টাকায় আনা হয়েছে।

আগামী বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয়বাবদ খরচ ধরা হচ্ছে তিন লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতাবাবদ ব্যয় রাখা হচ্ছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সরবরাহ ও সেবাবাবদ ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধবাবদ রাখা হচ্ছে ৬৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। সরকারি প্রণোদনা, ভর্তুকি ও অনুদানবাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকছে দুই লাখ পাঁচ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

বাজেটের আয় হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ই দেবে এর যোগান। সাথে এনবিআরবহির্ভূত কিছু আয় যুক্ত হবে।

এ বিশাল ঘাটতি পূরণে সরকার কোন খাত থেকে কত টাকা ঋণ নেবে তারও একটি ছক তৈরি করেছে। ছক অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরের ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করবে, অংকে যা ৮৫ হাজার কোটি টাকা।
চলতি বাজেটে যা আছে ৬৭ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক অনুদান ধরা হচ্ছে চার হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে যা রয়েছে তিন হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।

এছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস অর্থাৎ ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতির বড় একটি অংশ পূরণ করতে চায় সরকার। ব্যাংক খাত থেকে ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি বাজেটে যা ছিল ৭২ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর