বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রায় ১৮০ কোটি মুসলিমদের বিশ্বাস মতে, পবিত্র কোরআন শরীফ হলো বিশ্বের একমাত্র গ্রন্থ যা আমাদের সবার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের তরফ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং এখনও অবিকৃত অবস্থায় বিদ্যমান। বিশ্বের বহু সভ্যতা, বহু জনপদ ও বহু নৃ সম্প্রদায় এই মহান গ্রন্থের আলোয় আলোকিত হয়েছে।
এই গ্রন্থের ভুল অন্বেষণ করতে গিয়ে বহু অমুসলিম তাদের জীবনের ত্রুটি অন্বেষণ করতে সক্ষম হয়ে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন। কুরআন শরীফের বিরুদ্ধে আজও ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশে বহু চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে ইসলাম বিরোধী একটা শ্রেণী। কিন্তু তাতে কুরআন শরীফের মাহাত্ম্য কোনো অংশেই হ্রাস পায়নি বরং চক্রান্তকারীরাই নিজেদের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছেন এই অপচেষ্টায়। ষড়যন্ত্রের মাঝেও করে বিশ্বের বহু দার্শনিক চিন্তাবিদ বিজ্ঞানী থেকে অসংখ্য বিশিষ্ঠ ব্যক্তিরা স্বীকার করে নিয়েছেন কুরআন শরীফের শ্রেষ্ঠত্ব। এবার কুরআন শরীফকে বিশ্বের সেরা ন্যায়ের গ্রন্থ হিসেবে উদ্ধৃত করলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বসেরা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্বের প্রতিষ্ঠানিক গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে সেরা গ্রন্থাগার হিসেবে পরিগণিত হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ভার্ড ল স্কুলের লাইব্রেরি। এবার সেখানকার কলাকুশলী এবং ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা শ্রেষ্ট ন্যায় প্রতিষ্ঠার বাণী হিসেবে নির্বাচিত করা হলো পবিত্র কুরআন শরীফের সুরাহ নিসার ১৩৫ নম্বর আয়াতকে। এই আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানব জাতিকে কঠোরভাবে ন্যায়পরায়ণ হতে আদেশ করেছেন। যে নিকৃষ্ট নরাবয়ব ও নরাধম ভারতের সুপ্রিম কোর্টে কুরআন শরীফের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং যে সব অজ্ঞ কুচক্রী মহল তাকে সমর্থন করেছেন তাদের গেলে এটা চপেটাঘাতের থেকে অনেক বড়ো কিছু।