নিউজ ডেস্ক : পাকিস্তান এবং তুরস্কের বিমান বাহিনী গাজায় ইজরায়েলের অনবরত বোমা এবং মিসাইল হামলায় যখন মুসলিম বিশ্ব নিরব ছিল তখন পাকিস্তান এবং তুরস্কের বিমানবাহিনী গাজা রক্ষায় এক মিশন হাতে নেয়। গাজার আকাশকে নো ফ্লাই জোন হিসেবে ঘোষনা করার পরিকল্পনা করে বিশ্বের দুই অন্যতম শক্তিশালী বিমানবাহিনী। এই লক্ষ্যে ইরাক এবং জর্ডানের বিমানবন্দর ব্যবহারের জন্য সেদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। আর এই সব গতিবিধি দেখে ভীত ইসরাইল তড়িঘড়ি অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়। দাবি করেছেন কুয়েতের সংসদের এক প্রাক্তন সদস্য।
কুয়েতের বিখ্যাত স্কলার এবং রাজনীতিবিদ ডা. আব্দুল্লা আল নাফিসি তার টুইটার অ্যাকাউন্ট এ বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেছেন। যা বর্তমানে আমেরিকা, ইউরোপ এবং আরব বিশ্বে ভাইরাল হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন ফিলিস্তিনের সহায়তার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এর অনুরোধে সাড়া দিয়ে জর্দান এবং ইরাক তাদের বিমান ঘাটি ইজরাঈলে হামলা চালানোর জন্য তুরস্ক এবং পাকিস্তানকে ব্যাবহারের অনুমতি প্রদান করে। উল্লেখ্য কিছু দিন আগেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ইরাক সফর করেন। এতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত চুক্তি হয়। যার দরূণ সৌদি এবং UAE পাকিস্তানের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করে।
এখবর বাইডেনের কাছে গোয়েন্দা সূত্রে পৌছানো মাত্র তিনি মধ্যপ্রাচ্যে পুরোদমে নতুন আকারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দ্রূত যুদ্ধ বন্ধ করতে নেতানিয়াহুকে ফোন করেন। আর পাকিস্তান যেহেতু এ সংঘাতে জড়িত হচ্ছে, তাই উদীয়মান পরাশক্তি চীনের সবুজ সংকেত ছাড়া তারা যে এতটা আগ্রাসী পদক্ষেপ নেবে না সেটা বাইডেন এবং নেতানিয়াহু খুব ভালো করে বুঝতে পারে। তাছাড়াও চীনকে এ যুদ্ধে আশ্চর্য জনক ভাবে একটিভ দেখা গেছে। যা অন্য ইজরাঈল – ফিলিস্তিনের সংঘাতে দেখা যাইনি। চীন বারবার আমেরিকাকে ফিলিস্তিন যুদ্ধে অমানবিক অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ করেছে। অন্যদিকে সিরিয়ার হামলা নিয়ে রাশিয়া ইজরাঈলের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। কাজেই তুরস্কের পাশে থেকেই রাশিয়া এ সুযোগে ইজরাঈলকে শায়েস্তা করার প্লান খুজছিল। যে কারনে পুতিনের কড়া ধমক শুনতে হয়েছিল নেতানিয়াহুকে। গড়ে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছিল বুঝতে পেরে ইজরাঈল যুদ্ধ বিরতিতে বিনা শর্তে রাজি হয়েছে।
আর পুরো পরিকল্পনাটি যে সত্য এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে সিএনএন আরবীর তরফ থেকে ইরাক এবং জর্ডান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু দুটি দেশের সরকার এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে সরাসরি অস্বীকার করে। যার ফলে তারা যে এই পরিকল্পনার অংশ তা বোঝা যায়। অন্যদিকে পাকিস্তান এবং তুরস্কের বিদেশমন্ত্রীরা যেভাবে আগ্রাসী কূটনৈতিক ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই সময় তাও নতুন বলে মনে করছেন অনেকে। তাই এখন ইসরাইল ফিলিস্তিন বিবাদকে কেন্দ্র করে বিশ্ব আপাতত দুটি মেরুতে বিভ্ক্ত হয়। একটিতে ছিল পাকিস্তান, তুরস্ক, চীন, রাশিয়া সহ কিছু আরব দেশ এবং অন্যটিতে ছিল আমেরিকা ইসরাইল এবং এদের মিত্ররা।