~ঝুমুর রায়
ভারত এখনও হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা হয়নি, তাতেই আমরা নারীদের প্রতি যে অবিচার দেখতে পাচ্ছি ভাষায় প্রকাশ অসম্ভব। আর যখন হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা হবে,মনুসংহিতা সংবিধান হবে- তখনকার পরিস্থিতি হবে কতটা ভয়াবহ ও জঘন্য তা আজ ভেবে শিউরে উঠি।
আপনি একবার বিলকিসের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা কল্পনা করুন,ভাবুন আপনার সাথেই এসব ঘটেছিলো।বিলকিসের পেটে তখন পাঁচ মাসের বাচ্চা। সেই অবস্থায় তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়।তাও আবার ১১ জন মিলে,একজন বা দুজন নয়! বিলকিসের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যে বাঁধা দিতে গিয়েছে, তাকেই হত্যা করা হয়েছে।বিলকিসকে রক্ষা করার জন্য তার পরিবারের সাত জনকে খুন হতে হয়,তবুও রক্ষা করা যায়নি বিলকিসকে।
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা একজন নারী যখন ১১ জন পুরুষের লালসার শিকার হন,তখন একমাত্র সেই নারীই জানে ঐ যন্ত্রণা কত তীব্র! বিলকিসকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হল,তাকে রক্তাক্ত করা হলো,তার পরিবারের সাত জনকে হত্যা করা হলো,আসামী ধরা পরলো।তারপর? তারপর কি হলো? ১১ জন আসামীকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হলো।আবার তাদের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি দেয়া হলো।
অর্থাৎ ভারতীয় নারীদেরকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করবে,আর ধর্ষকদের আদালত কর্তৃক একটু বকাঝকা করে ছেড়ে দেবে,ক্ষমা করে দেবে- বাহঃ চমৎকার দেশের আইন আর চমৎকার দেশের নিয়ম।ধর্ষকেরা ক্ষমা পেয়ে আবারও ধর্ষণ কাজে লিপ্ত হবে,আবারও আদালত তাদের ক্ষমা করে দেবে!
তাহলে নারী, কোথায় তোমার স্বাধীনতা? কোথায় আমার স্বাধীনতা? আমিও ১৫ ই আগস্ট থেকে আতঙ্কে চলাফেরা করছি।কারণ আমাকেও নরপশু গুলি ধর্ষণ করতে পারে।কারণ ধর্ষকেরা তো জেনে গিয়েছে যে,ধর্ষণ করেও,হত্যা করেও ক্ষমা পাওয়া যায়!